ম্যাচ জিতেই ফাইনালের ভাবনায় বাংলাদেশ কোচ

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ০৬:১৬ পিএম | ০৮ মার্চ, ২০২৪

নেপাল-ভারতের পর এবার বাংলাদেশ উড়িয়ে দিল ভুটানকেও। ফাইনাল নিশ্চিত ছিল ভারতকে হারানোর পর থেকেই। এবার এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে ফাইনালে যাওয়ার তৃপ্তি মিলল।

এ ম্যাচে মোটাদাগে মূল দল নিয়েই খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাতে অবশ্য একটা লাভ হয়েছে। এই ম্যাচে জোড়া গোল দিয়ে সেরা গোলদাতার পুরস্কারটা পাওয়ার দৌড়ে সবার সামনে চলে এসেছেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। 

তবে তার একটা সমস্যা হচ্ছে, ফাইনালটা দুই দিন পর। তার আগে খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় বিশ্রামটা দিতে পারেননি কোচ সাইফুল বারী টিটু। কেন পারেননি? তা নিজেই জানালেন তিনি, ‘আজকের ম্যাচটা খুব ট্রিকি ছিল। এজন্যে যে একদিন পরেই ফাইনাল খেলব, কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া যাচ্ছে কি না, ওটা করা আমাদের জন্য সমস্যার কারণ আমার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের মতো দ্বিতীয় ব্যাচের খেলোয়াড় নেই।’ 

সেসব সামলেই বাংলাদেশ এখন ফাইনালে। কোচ টিটুর ভাবনার পুরোটা জুড়ে তাই এখন সেই ফাইনালই। তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টে যা-ই হয়েছে, এখন ইটস অল অ্যাবাউট দ্য ফাইনাল। ফাইনালের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। ফাইনালে যেন সব খেলোয়াড় সুস্থ থাকে, এবং সম্পূর্ণ চেষ্টাটা করতে পারে ওটা তৈরি করতে হবে এর মধ্যে।’

ভারতের বিপক্ষে চলতি টুর্নামেন্টেই এক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেই দলটার কৌশল সম্পর্কে এখন কোচের কাছে স্পষ্ট একটা ধারণা আছে। ফাইনালে ভারত কোন অ্যাপ্রোচে এগোবে? টিটুর কথা, ‘ভুটান আমাদের যতটা স্পেস দিয়েছে, ভারত আমাদের ততটা দেবে না। দ্রুত পাস খেলতে হবে, প্রয়োজনে কিছু লং পাসও খেলতে হবে, তাদের রক্ষণ ভাঙতে হলে। ভারতের বিপক্ষে আমরা বিল্ডআপ করতে পারব কি না জানি না, কারণ ভারত ভালো প্রেস করে। আমাদের খেলার ওই ধারাটা ধরে রাখতে হবে, পাস করে মাঠটা বড় করতে পারি, তাহলে আমাদের পক্ষে সম্ভব ওটা করার।’

তবে সেটা করতে আত্মবিশ্বাস চাই, যাতে দলের ঘাটতি আছে একটু। জানান কোচ টিটু, ‘বিষয়টা আত্মবিশ্বাসের। আমার মনে হয় মেয়েরা একটু চিন্তিত ছিল, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। ওরা যে সময়টা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে, ওদের বয়স যত বাড়বে, ওদের আত্মবিশ্বাসটা তত আসবে, ছোট ছোট পাস খেলে বল রাখার ব্যাপারটা, এখন একটু ভয় পাচ্ছে, বল দিলে যদি হারিয়ে ফেলি।’

ফাইনালের আগে ওই আত্মবিশ্বাস নিয়েই কাজ করতে চাইছেন কোচ। তিনি বলেন, ‘ফাইনালে একটাই তো ম্যাচ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন, তো এই জিনিসটা ওদের সামনে দাঁড় করানো। এখন আর মাঠে কাজ করার কিছু নেই। এখন পুরো ব্যাপারটা মোটিভেশনের। তাদের ইনস্পায়ার করার।’

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :