মেন্ডিসকে থামিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বেধে রাখল বাংলাদেশ
কুশল মেন্ডিস গলার কাঁটা হয়েই ছিলেন বাংলাদেশের। ওপাশে একের পর এক উইকেট চলে যাচ্ছিল, কিন্তু তাকে ফেরানো যাচ্ছিল না। তাতে শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য রানটাকেও দেখা যাচ্ছিল নিদেনপক্ষে ১৯০ এর ঘরে। তবে এরপরই লঙ্কানরা একটু করে পথ হারাল যেন। কুশলকে ফেরালেন তাসকিন, এরপরই শ্রীলঙ্কার রানটা ১৯০ থেকে এক লাফে নেমে এল আরও নিচের দিকে। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা অবশ্য ইনিংস শেষ করেছে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৭৪ রান তুলে। ইনিংসে পরিস্থিতিটা যেভাবে দুলেছে পেন্ডুলামের মতো, তাতে দুই দলই খানিকটা স্বস্তি নিয়ে ইনিংস বিরতিতে যাচ্ছে।
শুরুটা বাংলাদেশই ভালো করেছিল। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ম্যাচে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ওপেনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান তাসকিন। সেই চাপটা যেই না সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল লঙ্কানরা, তখনই দ্বিতীয় ধাক্কাটা দেয় বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে এসে দলের দ্বিতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা। কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান রিশাদ হোসেন।
৮ ওভারে রান তখন ৫৪। রানের গতি বাড়াতে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে চারে নামেন হাসারাঙ্গা। যদিও তাকে ওপরে নামানোর অভিপ্রায়টা পূরণ হয়নি, কারণ রানের গতি সামলানোর মূল দায়িত্বটা নিয়ে নেন ততক্ষণে ওপাশে থাকা কুশল মেন্ডিসই। সেখানে তৃতীয় উইকেটে হাসারাঙ্গাকে নিয়ে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
এরপর থেকে মেন্ডিস একাই টানছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। ওপাশে কামিন্দুর পর হাসরাঙ্গাকেও ফিরতে দেখেছেন, একটু পর চারিথ আসালঙ্কাকেও। তবে মেন্ডিস ছিলেন নিজের মতো করেই। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। সেই তাকে ১৭তম ওভারে এসে থামান তাসকিন। বডিলাইনে আসা বলটা পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। ফেরেন ৫৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে।
তাকে বিদায়ের পরই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায় স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে শানাকার ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে ১৭০ ছাড়ায় সফরকারীদের ইনিংস। ইনিংসের শেষ বলে শানার রান আউটে দারুণ কীর্তি দেখান উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ‘নো লুক পজিশন’ থেকে বল থ্রো করে শানাকাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন লিটন। বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন ও রিশাদ।