রিশাদের ‘ব্যাটিংটা দরকার ছিল’
ম্যাচের আশা তখন শেষ। এমনকি উঁকি দিচ্ছিল নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কাও। তবে সেখান থেকে বাংলাদেশ শেষমেশ হারল লড়াই করে। ২৮ রানে।
বাংলাদেশ এমন লড়াইটা করেছে রিশাদ হোসেনের ব্যাটে চড়ে। তিনি ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন, যখন দল ধুঁকছিল রীতিমতো। শুরুতে শেখ মাহেদি, এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে লড়ে গেছেন শেষতক।
তার মূল কাজ বোলিংয়ে। লেগ স্পিনার হিসেবে দলে ঢোকা। গেল বছর নিউজিল্যান্ড সিরিজে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ৫৪ বলে ৮৭ রানের এক ইনিংস। তার ব্যাটিং নিয়ে আন্দাজটা পাওয়া গিয়েছিল সে ম্যাচেই। এরপর কয়েক ম্যাচে কিছু ঝলক দেখিয়েছিলেন। তার পুরোটা দেখালেন আজ।
এর আগে বোলিংটাও অবশ্য মন্দ করেননি রিশাদ। চার ওভারে রান দিয়েছেন ৩৫, তবে উইকেট তুলে নেওয়ার কাজটা ঠিকভাবেই সামলেছেন তিনি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ফিরিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। তারপর তার অমন ব্যাটিং!
বোলিংয়ের পাশাপাশি তার ব্যাটিংয়েও এমন প্রতিভার নিদর্শনকে অধিনায়ক শান্ত দেখছেন দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য দারুণ কিছু হিসেবে। তিনি বললেন, ‘বোলিং খুবই ভালো করেছে কন্ডিশন অনুযায়ী। ব্যাটিংটা দরকার ছিল কারণ এখন আমরা বিশেষজ্ঞ ৬ ব্যাটার নিয়ে খেলছি। সাথে অলরাউন্ডার থাকে। আমার মনে হয় যে যেভাবে ব্যাটিং করেছে এটা ভবিষ্যতের জন্য আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে।’