ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট: অজিদের দরকার ২০২ রান, কিউইদের ৬ উইকেট
অজি সিরিজে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি কিউইদের মান বাঁচানোর। আপাত দৃষ্টিতে তা সিরিজ সমতার হলেও, ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের আগে ওয়েলিংটন টেস্টে হার এবং টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাইয়ের পর তা হয়ে দাঁড়িয়েছে মান বাঁচানোরই। সেখানে ক্রাইস্টচার্চের প্রথম দিনে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে শুরুটা বাজে করলেও ম্যাট হেনরির পেস তোপ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে দলীয় পারফর্মে দ্বিতীয় দিনের পর তৃতীয় দিনটাও নিজেদের দখলে রেখেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসটা ছিল পুরোদস্তুর হতাশার। ১৬২ রানের সেই দুর্দশার ইনিংস কাটিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে কিউইরা। সেখান থেকে উইলিয়ামসন-ল্যাথামের পর ফিফটি পেরোনো ইনিংস খেলেন আরেক জুটি রাচিন-মিচেল। এতে ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ৩৭২ রানের ভালো পুঁজি পায় টিম সাউদির দল। এবং জয়ের জন্য অজিদের সামনে ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন রাচিন।
লক্ষ্যটা মধ্যম মানের এবং সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকলেও হেনরি-সিয়ার্স পেস তোপে ৩৪ রানেই ফেরেন অজিদের শুরুর চার ব্যাটার। তবে সম্ভাবনার শেষ এখানেই বলা মুশকিল। সেই চাপ সামলে তৃতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান জমা করেছে তারা। তবে এখান থেকে জয়ের পথ বেশ দূর। বাকি দুই দিনে ২০২ রান দরকার অস্ট্রেলিয়ার, এদিকে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৬ উইকেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে সিরিজে চলমান ছন্নছাড়া ব্যাটিং আরও একবার দর্শীয়ে প্রথম ইনিংসে স্রেফ ১৬২ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। সেখানে অজিদের হয়ে ফাইফার পান জশ হ্যাজলউড। জবাবে অজিদের প্রথম ইনিংসের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। সেখানে ম্যাট হেনরি একাই নেন ৭ উইকেট। তবে রানের ফেরার ইনিংসে মারনাস লাবুশেনের ৯০ রানের ইনিংসে চেপে আড়াইশ পেরিয়ে ২৫৬ রানের পুঁজি পায় প্যাট কামিন্সের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিন শেষে)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৬২ (৪৫.২ ওভার) (ল্যাথাম ৩৮, হেনরি ২৯; হ্যাজলউড ৫/৩১, স্টার্ক ৩/৫৯)
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২৫৬ (৬৮ ওভার) (লাবুশেন ৯০, স্টার্ক ২৮; হেনরি ৭/৬৭)
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৭২ (১০৮.২ ওভার) (রাচিন ৮২, ল্যাথাম ৭৩, মিচেল ৫৮, উইলিয়ামসন ৫১; কামিন্স ৪/৬২, লায়ন ৩/৪৯)
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস*: ৭৭/৪ (২৪ ওভার) (মার্শ ২৭*; হেনরি ২/৩৭)