পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

ম্যাচের ৪২ তম মিনিটে ফাতেমার নেওয়া কর্নার কিকে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর সেটি হলে প্রথমার্ধটা শেষ করা যেত সমতায় থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হতে দেয়নি ভারতের গোলরক্ষক। দলকে বিপদ মুক্ত করেছেন তিনি। আর তাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জুড়ে দারুণ ফুটবল খেলা বাংলাদেশকে ফাইনালে এসে এই প্রথম দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামবে তবে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে।

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার এই রোগটা অবশ্য বেশ পুরনো। যার জন্য বেশ খেসারতও দিতে হয় বাংলাদেশ দলকে। এই যেমন গত মাসে শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সালে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে শেষটায় গোল করে কোনো রকমে ম্যাচটাকে টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে সেখানে ২২ পেনাল্টিতেও ফল না আসলে শিরোপা ভাগ করে দুই দল।

যদিও আজ সেটা ঘটে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের জন্য যে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে তা বলায় যায়। কেননা, শুরুতে লিড নেওয়ার পর থেকেই রক্ষণ নিয়ে বেশ সতর্ক দেখা গেছে ভারতকে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন না আনলে চড়া মাশুল দিতে হবে পারে সাইফুল বারি টিটুর শিষ্যদের।

এর আগে, এদিন যেন কিছু বুঝেই উঠতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপপর্বে দাপুটে ফুটবল খেলা সাইফুল বারি টিটুর শিষ্যরা ঠিকমতো গুছিয়ে উঠার আগেই বাংলাদেশের জালে বল। বনিফিলিয়া শুল্লাইয়ের মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে দারুণ দক্ষতার সঙ্গে কোনাকোনি শটে বাংলাদেশের জাল কাঁপায় ভারত। দলকে লিড এনে দেয় ভারতের আনুষ্কা কুমারী ফুটবলার।

গোল হজম করার যেন দিশা ফিরে বাংলাদেশের। এরপর বেশ কবার আক্রমণেও গিয়েছে দলটি। তবে ভারতের রক্ষণের ফাঁক গলাতে পারেনি টিটুর শিষ্যরা। তবে ম্যাচের সবচেয়ে কঠিন আক্রমণটি হয়েছিল ম্যাচের ৪২ মিনিটে। ফাতেমার নেওয়া কর্নার কিকটি গিয়ে পড়ে জটলার মধ্যে। বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারও সেখানেই ছিল। তবে তাদের কাছে বল আসার সুযোগ দেয়নি ভারতের গোলরক্ষক। লাফিয়ে উঠে বলটি লুফে নিতে না পারলেও বাংলাদেশি ফুটবলারদের আয়ত্তের বাইরে ঠেলে দেন তিনি। তাতে গোল হজম করা থেকে বাঁচে ভারত।

 

সম্পর্কিত খবর