অলরাউন্ডার সৌম্যর সবকিছু চান অধিনায়ক শান্ত
পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ নাজমুল হোসেন শান্তর। তবে তার আগেও একটা সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সে সিরিজে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সে সিরিজে সৌম্য সরকার ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, জানান দিয়েছিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। সেই সৌম্য সরকারকেই আবার ফেরত চাইলেন অধিনায়ক শান্ত।
সৌম্য সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলে ছিলেন। বড় পারফর্ম্যান্স না দিতে পারলেও ব্যাটে বলে ফিল্ডিংয়ে সব জায়গাতেই অবদান রেখেছেন। সৌম্যের এই রূপটাকেই চান শান্ত। বললেন, ‘ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব কিছু মিলিয়ে ওর কাছ থেকে শতভাগ পেতে চাই।’
সৌম্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ধারাবাহিকতা। সেটা এবারের দফায় পেছনে ফেলেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে শেষ কিছু দিনে এ বিষয়ে সৌম্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানালেন শান্ত। বললেন, ‘গত সিরিজে ওয়ানডেতে অনেকদিন পর ফিরল। তিনটা ম্যাচ খেলল, তার ভেতরে একটাতে বড় ইনিংস খেলল একটাতে মাশাল্লাহ। ধারাবাহিকতা সবারই প্রয়োজন আছে। আলাদাভাবে সৌম্যের একার প্রয়োজন সেটা বলব না। প্রত্যেকটা ব্যাটারকে এই জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। সৌম্য নিজেও এটা নিয়ে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সিরিজে যদি চিন্তা করা যায় ওরকম কন্ডিশনে ওরকম একটা ইনিংস খেলা অবশ্যই আমাদের দলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি যদি ও যদি সুযোগ পায় ওর যে জায়গায় ওখানে ব্যাট করলে ভালো করবে।’
দলে সাকিব নেই। তাই ব্যাটিং অর্ডারে ‘এদিক-সেদিক’ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বললেন, ‘গত সিরিজ আমরা যখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেললাম তখন খুব একটা বদল হয়নি। সাকিব ভাই নাই, সমন্বয়ে তো একটু এদিক-সেদিক হয় অনেক সময়। উনি থাকলে দলটা করা আমাদের জন্য সহজ হয়। ওটা মাথায় রেখেই আমাদের ব্যাটিং অর্ডারটা সাজাবো। আমাদের দলের জন্য যেটা ভালো হবে ওটাই করার চেষ্টা করব। ব্যাটিং অর্ডার আশা করছি থিতু থাকবে।’