বাংলাদেশের পেস তোপে শ্রীলঙ্কা ২৫৫ অলআউট
শেষটা কোথায় গিয়ে থামবে তার একটা ধারণা পাওয়া যায় ইনিংসের শুরুতেই। সেই শুরুতে অবশ্য বাংলাদেশের জন্য আশাব্যঞ্জক কিছু ছিল না। লঙ্কানদের দুই ওপেনার বাংলাদেশি পেসারদের খেলছিলেন অবলীলায়। রান তুলছিলেন ওভার প্রতি ৬ এর বেশি গড় রেখে। তাতে মার্চের তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছিল বাংলাদেশি পেসারদের। তবে দিন শেষে সেই পেসাররাই রাজত্ব করেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ২২ গজে। পেসারদের তাণ্ডবে দারুণ শুরু পাওয়া লঙ্কানদের শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে ২৫৫ রানে। যেখানে বাংলাদেশি তিন পেসার সাকিব, তাসকিন ও শরিফুলের শিকার ৯ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে টসে জিততে না পারলেও এদিন টস ভাগ্যে হেসেছে লঙ্কানরা। তবে সিদ্ধান্তটা রয়ে গিয়েছে একই। অর্থাৎ শুরুতে ব্যাটিংয়ে লঙ্কানরা। তাদের সেই সিদ্ধান্ত যে মোটেও ভুল নয় তারই যেন প্রমাণ দিচ্ছেন দলটির দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্ডো জুটি। একেতে রমজান তার ওপর তপ্ত গরম। এই দুই ওপেনার রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছাড়ছিলেন বাংলাদেশি বোলারদের।
এই দু’জনকে থামাতে ঘাম ছুটে যাচ্ছিল তাসকিন শরিফুলদের। ওভারপ্রতি ৬ এর বেশি রান তুলে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তারা। অবশেষে বাধ্য হয়ে পাওয়ার প্লের শেষ স্পেলে অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বোলিংয়ে আনেন তানজিম হাসান সাকিবকে। প্রথম ওভারে ব্যর্থ হলেও পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দলকে বহুল প্রত্যাশিত ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব। ফেরান ৩৩ বলে ৩৩ করে চেপে বসতে থাকা ফার্নান্ডোকে। এরপর পরের দুই ওভারে এসে আরও দুই ব্যাটারকে সাজঘরের পথ ধরিয়েছেন সাকিব। লঙ্কানদের ইনিংসে হঠাৎই ছন্দপতন। ৭১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৮৪ রানে নেই ৩ উইকেট। যার তিনটিই আবার তুলেছেন সাকিব।
দলকে টেনে তুলার চেষ্টা চলান লঙ্কান অধিনায়ক কুসাল মেন্ডিস। চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ চালান তিনি। তবে এই জুটিকে খুব বেশি সময় উইকেটে টিকতে দেননি মিরাজ। আসালাঙ্কাকে ১৮ রানে ফিরিয়ে ভেঙে দেন ৪৪ রানের জুটি। এরপর ফের জানিথ লিয়ানাগেকে নিয়ে উইকেটে জমে উঠতে শুরু করেন মেন্ডিস।
তবে ফিফটি হাঁকানোর পর আর ইনিংসটাকে খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি তিনি। তাসকিনের বলে তাকে ফিরতে হয়েছে ৫৯ রানে। খানিক পর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকেও সাজঘরের পথ ধরান তাসকিন। ২২১ রানে ৬ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর মহেশ থিকশানাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে লঙ্কানদের চেপে ধরেন তাসকিন। এরপর লিয়ানাগেকে ৬৭ রানে ফিরিয়ে লঙ্কানদের শেষ আশাটুকুও নিভিয়ে দেন আরেক পেসার শরিফুল। লঙ্কানদের শেষ তিন উইকেট নিয়ে শরিফুল সফরকরীদের আটকে দেন ২৫৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
শ্রীলঙ্কা: ২৫৫; (নিশাঙ্কা ৩৬, ফার্নান্ডো ৩৩, মেন্ডিস ৫৯, লিয়ানাগে ৬৭; সাকিব ৩/৪৪, তাসকিন ৩/ ৬০, শরিফুল ৫১/৩)