ইংলিশদের ২৮৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল আফগানিস্তান
রহমানউল্লাহ গুরবাজ যেভাবে শুরুটা করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল আজ আফগানিস্তান বুঝি ৩০০ ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে তবেই ক্ষান্ত হবে। কিন্তু মাঝের ধসে তা আর হয়নি। যদিও শেষ দিকে ইকরাম আলী খিলের ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানরা ঠিকই পেয়ে গেছে লড়াকু পুঁজি, অলআউট হওয়ার আগে তুলে ফেলেছে ২৮৪ রান। তাতে ২৮৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডের সামনে।
এ পর্যন্ত আফগানিস্তান খেলছে তিনটি বিশ্বকাপে। জয় আছে মোটে একটি, তাও ২০১৫ বিশ্বকাপে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে শেষ ১৪ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেননি রশিদ খানরা। আজ প্রতিপক্ষ যে ইংল্যান্ড, তাদের বিপক্ষেও জয় নেই একটি ম্যাচেও। তাদের বিপক্ষে তৃতীয় বারের দেখায় আফগানরা নেমেছে ইতিহাস বদলে দেওয়ার প্রত্যয়ে।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে আজ টসে হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। এর আগেই অবশ্য অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি জানিয়েছিলেন, এ উইকেটে ৩০০'র বেশি রানই নিরাপদ হবে। তবে রহমানউল্লাহ গুরবাজ আফগানদের এনে দেন দারুণ এক শুরু। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই চলে আসে ৭৯ রান। ৩৩ বলে ৫০ ছুঁয়ে তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন গুরবাজ।
আফগানরা তিন অঙ্ক ছোঁয় ১৪তম ওভারে গিয়ে। এরপরই ধস নামে দলটির ইনিংসে। আদিল রশিদের বলে ইবরাহিম জাদরান বিদায় নেন। এক ওভার বিরতি দিয়ে সেই আদিলের হাতেই বিদায় নেন রহমত শাহ। এক বল পর গুরবাজও ফিরলেন রান আউটের কাটায় পড়ে। ৭ রানের এদিক ওদিকে তিন উইকেট খুইয়ে বিপাকেই পড়ে যায় আফগানিস্তান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে ১৯০ রানেই হারায় ৬ উইকেট। এরপরই শুরু ইকরামের লড়াইয়ের। প্রথমে রশিদ খানের সঙ্গে, এরপর মুজিব উর রহমানকে নিয়ে জুটি গড়েন তিনি। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে তিনি যখন ফিরছেন, দলের স্কোরবোর্ডে তখন জমা পড়ে গেছে ২৭৭ রান। তার বিদায়ের পর আরও ৭ রান যোগ করে আফগানরা। শেষমেশ অলআউট হয় ২৮৪ রানে।