খেলার গতিপথ বদলে দিয়েছিল যে অ্যাপ্রোচ

খেলার গতিপথ বদলে দিয়েছিল যে অ্যাপ্রোচ

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া রানটা খুব বেশি ছিল না। তবে বাংলাদেশের রান তাড়ার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। যার ফলে ২৫৫কেই মনে হচ্ছিল এভারেস্টসম। শেষমেশ সে হিমালয় শৃঙ্ঘে পা রেখেছে বাংলাদেশ। তাও আবার ৩২ বল হাতে রেখে। এমন জয়ের পর দলের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের ভূয়সী প্রশংসাই করেছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।

২৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ খাদের কিনারেই দাঁড়িয়ে ছিল ম্যাচটাতে। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটি। এই জুটিতে রিয়াদই ছিলেন প্রোট্যাগনিস্ট। শুরু থেকে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে তিনিই দলের রানের চাকা সচল রেখেছেন।

রিয়াদের এই ব্যাটিংয়ের ফলেই শ্রীলঙ্কা কৌশল বদলাতে বাধ্য হয়েছিল, অভিমত কোচ হেম্পের। তিনই বললেন, ‘তখন বল সুইং করছিল, শ্রীলঙ্কা স্টাম্প টার্গেট করছিল, সেটা ডেঞ্জার বল ছিল। কিন্তু সে সেই লেন্থটা বদলে ফেলতে বাধ্য করেছিল, বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিল। তার অ্যাপ্রোচ শ্রীলঙ্কাকে কৌশল বদলাতে বাধ্য করেছিল, শান্তর ওপর থেকে চাপটা সরিয়ে নিয়েছিল অনেকটা। জুটিটা ৬৯ রানের, কিন্তু এই জুটিটাই খেলার গতিপথটা গড়ে দিয়েছিল।’

এরপরের কাজটা সহজ হয়ে এসেছিল, সেটা গতকাল মুশফিকুর রহিমও অকপটে স্বীকার করেছেন। সেখান থেকে খেলাটা শেষ করে আসার দায় ছিল। শান্ত আর মুশফিক মিলে সে কাজটাই করেছেন। হেম্পের ভাষ্য, ‘এই সিরিজের আগে শেষ সপ্তাহ দুয়েক ধরে আমরা একটা কথা বলছিলাম, সেটা হলো কাজটা শেষ করে আসা। যদি তুমি থিতু হও, তাহলে কাজটা শেষ করে এসো। দ্বিতীয় জুটিতে কাজটা দেখা গেল। ১৬৫ রানের জুটিতে ম্যাচটা জেতা হয়ে গেল। আমরা যে দায়বদ্ধ, সেটাও প্রমাণ করে দিল। দুজন কাজটা করেছে, এটা দেখে বেশ খুশি।’

সম্পর্কিত খবর