হৃদয় ৯৬, লঙ্কানদের ২৮৭ রানের টার্গেট বাংলাদেশের
সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে শুরুতেই নেই লিটন দাস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে এই ওপেনার। এমন শুরুর পরও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে মাঝে সব এলোমেলো করে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এরপর বড় সংগ্রহের সেই স্বপ্নটা তত বড় না হলেও শক্ত ভিত পেয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের কল্যাণে। হৃদয়ের ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের ২৮৭ রানের টার্গেট ছুড়েছে বাংলাদেশ।
এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লঙ্কানরা। এরপর শুরুতেই সাজঘরে ফেরায় ওপেনার লিটন দাসকে। সেই ধাক্কাটা অবশ্য ভালোই সামলে নেন শান্ত-সৌম্য জুটি। পথে অবশ্য তাদের সুযোগ করে দিয়েছে লঙ্কান ফিল্ডাররাও। তবে এরপরও ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি শান্ত। ৩৯ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।
এরপর সৌম্য ৬৮ রানে সাজঘরে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ ফিরেন কোনো রান না করেই। দলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মুশফিক-হৃদয় জুটি। তবে এদিন উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি মুশফিক। হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়তে হয় তাকে। খানিক পর হাসারাঙ্গার শিকার হয়ে ফিরতে হয় মেহেদী মিরাজকেও। দলীয় ১৮৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট খুয়ায় বাংলাদেশ। লঙ্কানরা পেয়ে যায় বাংলাদেশের লেজের দেখা। আর তাতেই শঙ্কা ঝেঁকে বসে মাঝারি মানেও সংগ্রহ দাঁড় করানো নিয়ে।
তবে দায়িত্ব নিতে ভুল করেননি হৃদয়। শেষ দিকে তানজিম সাকিব ও তাসকিনকে প্রথমে আড়াই শ পার করেন। পরে সেটাকে আরও পোক্ত করেন দু’জনে। শেষ দিকে তাসকিন ও হৃদয়ের তাণ্ডবেই স্কোরবোর্ডে লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৮৬ রানে। যেখানে হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১০২ বলে ৯৬ রান। অন্যদিকে তাসকিন খেলেন ১০ বলে ১৮ রানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ: ২৮৬/৭; (সৌম্য ৬৮, শান্ত ৪০, হৃদয় ৯৬*, তাসকিন ১৮*; হাসারাঙ্গা ৪/৪৫, মাদুশাঙ্কা ২/৩০)