সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নেই হৃদয়ের
লঙ্কানদের বিপক্ষে গতকালের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। ভালো শুরুর পর ইনিংস মাঝে যখন শুরু হয় উইকেট ধস, সেখানে নিজের উইকেট বাঁচিয়ে হয়েছেন থিতু এবং শেষে রানের গতি বাড়িয়ে দলকে নিয়ে গেছেন শক্ত অবস্থানে। যদিও বোলিংয়ে কিছুটা পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩ উইকেটের এই হারে আসে সিরিজ সমতায়। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হৃদয়ের ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটি প্রশংসার দাবি রাখেই।
১০২ বলে ৯৬ রান। আক্ষেপটা স্রেফ ৪ রানের। হতে পারতো ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। মাঠের বাইরে যখন সবাই হৃদয়ের সেঞ্চুরি আক্ষেপের সমীকরণে ব্যস্ত, তখন হৃদয় ভাবেননি এমন কিছুই। অবশ্য আক্ষেপের সুত্রপাত হৃদয়ের ম্যাচ শেষের হতাশ হয়ে মাঠে ছাড়া থেকেই।
নাজমুল হোসেন শান্ত আউটের পর ইনিংসের ১৩তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন তাওহীদ হৃদয়। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলিয়ে আগের চার ম্যাচে সেভাবে রান না পাওয়ায় শুরুতে কিছুটা সময়ে নিচ্ছিলেন। এদিকে সৌম্য আউটের পর একে একে সাজঘরে ফিরতে থাকেন মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা। সেখানে দায়িত্ব যেন আরও কিছুটা বেড়ে গেল হৃদয়ের। সেখানে উইকেট আগলে রেখে হয়েছেন থিতু। ৭৪ বলে ফিফটি তুলেছেন। এরপর বাড়িয়েছেন রানের গতি। শেষ ৪৬ রান করতে নিয়েছেন ২৮ বল।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে নিজের ইনিংস নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘কোনো আক্ষেপ নেই (সেঞ্চুরির), যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়েছি। সব সময় পরিকল্পনা এমনই থাকে, একটা শুরু যখন পেয়েছি যতটুকু সম্ভব সেদিন যেন ক্যারি করতে পারি।’
এ ম্যাচে দুইশ পেরোনোর আগেই সাজঘরে ফেরেন ৬ ব্যাটার। মুল ব্যাটারদের পিচে কেবল তাওহীদ হৃদয়। বাকি সব টেল-এন্ডাররা। সেখানে তাদের নিয়েই হাল ধরেন হৃদয়। তানজিম সাকিবের ১৮ রান ছাড়াও শেষে তাসকিনও খেলেছেন ১০ বলে ১৮ রানের এক ক্যামিও ইনিংস। তাদের প্রশংসায় হৃদয় বলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন আমার মাথায় ছিল মিরাজ ভাইয়ের পরেও সাকিব (তানজিম) ভালো ব্যাটিং করে, তাসকিন ভাইও ভালো ব্যাটিং করে। এমনকি তাইজুল ভাই, শরিফুল, তারাও ভালো ব্যাটিং জানে। আত্মবিশ্বাস ছিল যে, শেষ পর্যন্ত যারা আছে তাদের নিয়েই আমি খেলব।’