শিশির থাকবে না, তাই আশাবাদী সাকিব
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা একটা ভুলই করে ফেলেছিল। সন্ধ্যার পর শিশিরের বিষয়টা তেমন পাত্তায় দেয়নি হয়তো, নাহয় টস জিতে কেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেবে দলটা? দ্বিতীয় ম্যাচে সে ভুলটা করেনি সফরকারীরা। টস জিতে বোলিংয়ে নামে। এরপর যা হওয়ার, হয়েছে তাই। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা শিশিরের কারণে ভুগেছে, দ্বিতীয় ম্যাচে ভুগল বাংলাদেশ।
তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সেসব ঝামেলা নেই একেবারেই। ম্যাচটা যে হবে পুরোপুরি দিবালোকে! ১২ বছর পর আবারও বাংলাদেশ পুরোপুরি দিনের আলোয় ম্যাচ খেলতে নামছে আগামী সোমবার। বিষয়টা তানজিম হাসান সাকিবকে দিচ্ছে স্বস্তি। তার আশা, শিশিরের সমস্যা না থাকায় বোলাররা বড় ভূমিকাই রাখতে পারবেন ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে।
বিসিবি এক ভিডিও বার্তায় তানজিম সাকিব বলেন, ‘শিশিরের কারণে বল স্লিপ করে। যেহেতু তৃতীয় ওয়ানডে ডে ম্যাচ, তাই এই ম্যাচে বোলাররা তাদের শতভাগ দিতে পারবে। ভালো জায়গায় বল করতে পারলে পিচের সহায়তাও পাওয়া যাবে।’
ঘরের মাঠে গেল বছর তিনটি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে নতুন বছরের শুরুটা তানজিম চাইলেন জিতে শুরু করতে। সেজন্যে জোর চেষ্টাই করবে দল, জানান তিনি। তার কথা, ‘আমরা জেতার জন্য মাঠে নামব। এই সিরিজ যেন আমরা জিততে পারি, সেটাই আমাদের চাওয়া। গত ম্যাচে (দ্বিতীয় ওয়ানডে) সুযোগটা আমরা লুফে নিতে পারিনি। শেষ ম্যাচে আমাদের সর্বোচ্চটা নিয়ে জয়লাভের চেষ্টা করব।’
প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন তানজিম সাকিব। লঙ্কান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যাট হাতে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। তাওহিদ হৃদয় যখন ইনিংসের শেষ দিকে মেরেকেটে খেলছিলেন, তখন অন্যপ্রান্ত থেকে তাকে সহায়তা করেছিলেন সাকিব। তার ব্যাটে ১৮ রান আসলেও হৃদয়ের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটিতে ২৮০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
দলের প্রয়োজনে ব্যাট, বল বা ফিল্ডিং-সব মাধ্যমেই অবদান রাখতে তৈরি সাকিব, ‘আমি যখন দলের জন্য খেলি, আমি চেষ্টা করি তিন বিভাগেই যেন দলকে সাপোর্ট দিতে পারি।’