রেকর্ড গড়ে সেমিতে ম্যান সিটি
চলতি মৌসুমে নিউক্যাসলের বিপক্ষে প্রত্যেকবারের দেখায় বেশ লড়াই করেই জিততে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। দলটির বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচে সিটির স্কোরলাইন ছিল ঠিক এমন ১-০, ৩-২, ১-০। যেন হোঁচট খেতে খেতেও যেন বেঁচে ফিরেছে সিটিজেনরা। সেই নিউক্যাসলের বিপক্ষে ছিল এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। যেখানে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি সতর্কে ছিল পেপ গার্দিওলার। তবে বের্নার্দো সিলভার নৈপুণ্য আগের সমীকরণ ছাপিয়ে সহজ জয় পায় সিটি। এই পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলেই ২-০ ব্যবধানে জিতে সেমিতে পৌঁছায় টুর্নামেন্টটির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে এই জয়ের দিনে অনন্য এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে সিটি। এফএ কাপের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা ছয় আসরে সেমিতে ওঠার রেকর্ড গড়ল তারা।
ম্যাচের সিটির দুটি গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। এদিন বল দখল, শট সবেই নিউক্যাসল থেকে ঢের এগিয়েই ছিল পেপ গার্দিওলার দল। ৭৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ১৬টি শট নেয় সিটি, যার মধ্যে লক্ষ্যেই পাঁচটি।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। মাঝ মাঠ থেকে রদ্রির বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ড্রিবল করে ডি-বক্সের ঢুকে পড়েন সিলভা। সেখানে এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ে নেওয়া শটে ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক। তবে তার কাছে বল পৌঁছানোর আগে ডিফেন্ডার ডেনিয়েল বার্নের মাথায় লেগে বল লক্ষ্য পাল্টে সোজা জড়ায় জালে।
৩১তম মিনিটে এসে এবার ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটি। এ গোলটি আগের গোলের যেন ঠিক কার্বন-কপি। এবার সিলভার দিকে বড় বাড়ান তার জাতীয় দলের সতীর্থ রুবেন দিয়াজ। সেখানে সিলভার নেয়া শট ফের একবার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্য বদলে জড়ায় জালে। ২-০ তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
পরক্ষণেই ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। সতীর্থ পাস থেকে দারুণ এক ভলিতে বল সিটির জালের উদ্দেশ্যে পাঠান আলেকজান্ডার ইসাক। তবে সেটি দারুণভাবে ফিরিয়ে দেয় সিটি গোলরক্ষক ওরটেগা। এরপর আগে ম্যাচে সেভাবে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি দলটি। ম্যাচের বাকি সময় নিজেদের জাল আগলে রেখে সুযোগ তৈরি করলেও আর গোল পায়নি সিটি। এতে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে উল্ভসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নেয় কভেন্ট্রি সিটি।