বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ পরিবর্তনের অভিযোগ কাইফের

বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ পরিবর্তনের অভিযোগ কাইফের

কেবল শিরোপাটাই ঘরে তোলা হয়নি ভারতের। নয়তো এমন দাপুটে পারফরম্যান্স খুব কম আসরেই দেখাতে পেরেছে ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতকে আসর শেষ করতে হয়েছে শিরোপা হাতছাড়া করার হতাশা নিয়েই। বিশ্বকাপের পর লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়; কেন আমরা হারলাম। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই রীতিমতো থলের বিড়াল বরে করে বসলেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। নিজেদের বিপক্ষেই পিচ পরিবর্তনের গুরুতর অভিযোগ তার।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল কভারেজের জন্য লাইভ শোতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আর সে সময় খুব কাছ থেকে দেখেছেন হায়দ্রাবাদের উইকেট। যা নিয়েই এবার দ্য লালানটপের একটি সাক্ষাত্কারে মুখ খুলেছেন কাইফ। পিচ পরিবর্তন নিয়ে খোদ ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিত শর্মার দিকে আঙুল তার।

কাইফ বলেন, ‘আমি ম্যাচের আগে তিন দিন সেখানে ছিলাম, আমরা প্রচুর লাইভ শো করেছি। সন্ধ্যায় রোহিত ও দ্রাবিড়কে দেখলাম পিচের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তারা প্রায় ঘণ্টা খানিক দাঁড়িয়েছিল। এটি তিন দিন ধরে চলল এবং দেখলাম ট্র্যাকের রঙ পরিবর্তন হয়ে গেল।’

ফাইনালে পিচ ডক্টরিংয়ের দিকে কতটা মনোযোগি ছিল ভারত তার একটা উদাহরণ দিতে গিয়ে কাইফ বলেন, ‘আমি যে শার্টটি পরছি সেটা নীল কিন্তু তিন দিন পর তা হলুদ হয়ে গেল; হায়দাবাদের পিচের রঙও তেমনি বদলে গেছে। তখন পানি ও ঘাস ছিল না। পিচটি ধীরগতির ছিল। মানুষ আমাকে বিশ্বাস না করলেও এটাই সত্যি।’

অবশ্য পিচ পরিবর্তন করলেও হাসেনি ভারতের ভাগ্য। তাদেরকে তাদের মাটিতে হারিয়েই শিরোপা উদযাপন সেরেছে অস্ট্রেলিয়া। পিচ পরিবর্তনের পরও এমনটা কীভাবে হলো তা নিয়ে কাইফ বলেন, ‘কামিন্স চেন্নাইয়ের প্রথম খেলা থেকে স্লো ট্র্যাক নিয়ে শিখেছে। তিনি টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং পরে শিশিরের সুবিধা নিয়ে ভারত তখন খেলা জিতেছিল। কামিন্স এই শেখার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেন এবং ফাইনালে বড় খেলায় তা প্রয়োগ করেন।

কাইফ আরও যোগ করেন, ‘দেখুন আপনি যখন টস জিতবেন, আপনি প্রথমে ফিল্ডিং করবেন না, একটি রেকর্ডও আছে, আমরা এটি ২০০৩ সালে করেছিলাম এবং আমরা হেরেছিলাম। কিন্তু কামিন্স ভালোই শিখেছে।’

সম্পর্কিত খবর