অস্ট্রেলিয়ার ভোগান্তি চলছেই

অস্ট্রেলিয়ার ভোগান্তি চলছেই

বিশ্বকাপের আগে দলটাকে দেখা হচ্ছিল সম্ভাব্য শিরোপাজয়ীদের কাতারেই। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর পরে এ কোন অস্ট্রেলিয়ার দেখা মিলছে? টানা দুই ম্যাচের হার তো আছেই, সঙ্গে ব্যাটে-বলে কোনোভাবেই তো দেখা মিলছে না চিরচেনা ক্ষুরধার অস্ট্রেলিয়ার!

আজকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের কথাই ধরুন, টানা দুই হারের পর এ ম্যাচে সর্বশক্তি দিয়ে চেপে ধরার কথা প্রতিপক্ষকে, সেখানে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়া বেশ ম্রিয়মান। শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই চড়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর। শুরুর পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেটই তুলে নিতে পারেনি অজিরা। ১৫ ওভার শেষেও নয়, লঙ্কান দুই ওপেনার তুলে ফেলেছে ৮৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার ভোগান্তিটা তাই চলছেই।

লঙ্কান দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা আর কুশল পেরেরার ফর্মটা বেশ বিপরীতমুখিই ছিল, অন্তত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে। বিশ্বকাপে আগের দুই ম্যাচে পেরেরা দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন মোটে ৭ রান। শেষ ছয় ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান মোটে ১৭। ওদিকে পাথুম নিসাঙ্কা ২০২২ সাল শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাট করছেন ৪৫ এর ওপর গড়ে। শেষ দুই বছরে বার বার তার ওপেনিং জুটির সঙ্গী বদলেছে, কিন্তু তা তার ফর্মে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। 

তবে দুজনের ফর্ম এক বিন্দুতে এসে মিলে গেল অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। শুরুতে পেরেরা খানিকটা সময় নিয়েছেন বটে। অষ্টম বলে রানের খাতা খুলেছেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সুযোগটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়াই করে দিয়েছে। একের পর এক বাজে বলে চাপই সৃষ্টি করতে পারেনি পেরেরার ওপর, যার সুযোগটা তিনি নিয়েছেন ভালোভাবেই। 

ওদিকে নিসাঙ্কা তার ছন্দটা ধরে রেখেছেন ভালোভাবেই। এই দুয়ের মিশেলে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছে বেশ বাজে। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর এবারও! তিন ম্যাচ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ১১ উইকেট তুলে নিতে পেরেছে অজিরা। সব মিলিয়ে এ উইকেটগুলো তুলে নিতে ১০৬ ওভার করতে হয়েছে অজি বোলারদের। প্রতি উইকেট তুলে নিতে করতে হয়েছে ৫৭.৮১ বল।

এ বিশ্বকাপে অজিরা ভুগছে, তার পেছনে বড় নিয়ামক হিসেবেই কাজ করছে বোলারদের এই স্ট্রাইক রেট।

সম্পর্কিত খবর