‘ঐতিহাসিক’ সিরিজের আগে অনুপ্রাণিত বাংলাদেশ

‘ঐতিহাসিক’ সিরিজের আগে অনুপ্রাণিত বাংলাদেশ

ঐতিহাসিক এক সিরিজই বটে! অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে এর আগেও এসেছে, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কিন্তু হেতু শুধুই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলা, এমন আগমন এবারই প্রথম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের বাংলাদেশে আগমন তাই ঐতিহাসিক কিছুই।

এ বিষয়টাকে যদি একপাশেও রাখেন, এরপরও এই সিরিজ বিশেষ কিছু। নারী ক্রিকেট ছাড়িয়ে গণ্ডিটা পুরুষ ক্রিকেট পর্যন্ত বিস্তৃত করে দিলেও অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশে আসাটা বিরল ব্যাপার। বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায় একটা তথ্যে, অজিরা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে সবশেষ ২০০৬ সালে; টি-টোয়েন্টির রমরমা ছিল না তখন, ওয়ানডে আর টেস্ট সিরিজ খেলে গিয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের বাংলাদেশ দল। এরপর আরও তিন বার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেললে বাংলাদেশে এসেছে অস্ট্রেলিয়া; ২০১১ সালে ওয়ানডে, ২০১৭ সালে টেস্ট ও ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল দুই দল। 

পুরুষ দলই যেখানে আসা বিরলপ্রায়, নারী দলের আসা সেখানে আরও বড় বিষয়ই হবে, তা বলাই বাহুল্য। সিরিজটাকে তাই দেখা হচ্ছে বেশ গুরুত্ব দিয়েই। মাঠের বাইরে প্রোটোকলের দিক থেকেও অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। 

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এই সিরিজ। এ লড়াইয়ের আগে অবশ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে বেশ অনুপ্রাণিতই শোনাল! তার এই প্রত্যয়ের পেছনে কাজ করছে ২০২৩ সালের দারুণ কিছু ফলাফল। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ড্র, এরপর পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়… এমন পারফর্ম্যান্সের পর নতুন বছর শুরু করার সময় বাড়তি অনুপ্রেরণা পাওয়ারই কথা জ্যোতিদের। 

বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসছি আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়েছে। আবার হোমে যখন ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি তখন মনে হয়েছে বোলিংটা স্ট্রং। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো দিক দুটি বিভাগই অনেক বেশি ভালো অবস্থায়। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকে কোন ইউনিট দলের জন্য বেশি কন্ট্রিবিউট করতে পারে।’

গেল বছরের এমন পারফর্ম্যান্স দলের মনোবল তো বাড়িয়ে দিয়েছেই, দল সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিটাও বদলে দিয়েছে বাইরের সবার। জ্যোতির চোখেও পড়েছে বিষয়টা, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলি তখন সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্নগুলো ছিল অন্য রকম। আপনারা জিততে পারবেন কি না, কী হতে পারে? এটাই আমার কাছে একটা সাফল্য মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি কেউ (ওরকম) প্রশ্ন করে নাই।’

এবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, যারা দুই ফরম্যাটেরই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ওয়ানডে টি-টোয়েন্টির রেকর্ড ট্রফিও তারাই জিতেছে। চ্যালেঞ্জটা তাই বিশাল। সেই চ্যালেঞ্জেও উতরে যাওয়ার দৃপ্ত প্রত্যয় দেখা গেল জ্যোতির চোখে-মুখে। এবার তবে সে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার পালা! 

সম্পর্কিত খবর