২৫ রানে নেই ৭ উইকেট, ১১৮ রানের হার বাংলাদেশের
ফাহিমা খাতুন শেষ ওভারে ২৯ রান খরচ না করলে হয়তো অস্ট্রেলিয়াকে দু’শর নিচেই আটকে রাখা যেত। এরপরও ২১৪ রানের লক্ষ্যটা খুব বড়ও ছিল না বাংলাদেশের জন্য। কেননা, কদিন আগেই এই মেয়েরা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২৫০ রান করে এসেছে। আর এটা তো নিজেদের মাঠ। তাই আশা ছিলই।
তবে সেই আশা মিলিয়ে যায় অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ২৭ রানে রান আউটে কাটা পড়লে। ৭০ রানে ২ উইকেট তোলা বাংলাদেশ পরের ৭ উইকেট হারায় মাত্র ২৫ রানে। অজি বোলিং তোপে দলীয় ৯৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ। বিপরীতে ১১৮ রানের বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
অজিদের ২১৪ রানের লক্ষ্যে এদিন অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। ফারজানা হক পিংকি কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আভাস দিয়ে ফিরে যান মুরশিদা খাতুনও। এরপর অবশ্য সুবানা মোস্তারিকে নিয়ে দলকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আর কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় সংগ্রহটাকে ৭০ এর ঘরে নিয়ে যান দু’জনে।
এরপরই বাংলাদেশের ছন্দপতনের শুরু। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৯ রান জমা করে মোস্তারি ১৭ রানে সাজঘরে ফিরলে জ্যোতি সঙ্গ পাননি অপর প্রান্তের ব্যাটারদের থেকে। দু’জনই ফিরেছেন রান আউটের শিকার হয়ে। এক্ষেত্রে অবশ্য অজি ফিল্ডারদের কৃতিত্বও কম নয়। দৃষ্টি নন্দন ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের হতাশ করেছেন তিনি। তবে অধিনায়ক জ্যোতির আউটের দায় অবশ্য তার নিজেরই বেশি। ব্যাট না ফেলে পা ফেলতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি।
এরপর আর হাল ধরতে পারেনি কোনো ব্যাটার। শেষ দিকের ব্যাটাররা হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেও সফল হননি খুব বেশি। সবাই মিলে করতে পারেননি ১০০ রানও। ৩৬ ওভারে মাত্র ৯৫ রান করে অলআউট বাংলাদেশ।
এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ চাপে পড়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ৭৮ রানে। তবে সেখান থেকে দলটা তাদের ইনিংস শেষ করেছে ৫০ ওভারে ২১৩ রান তুলে, তাও আর মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে! অবশ্য এর পেছনে দায়টা বাংলাদেশি ফিল্ডারদেরও কম নয়।
একের পর এক ক্যাচ মিসের মিছিলে বাংলাদেশই গড়ে দিয়েছে তাদের রানের পাহাড়ে ওঠার রাস্তাটা! পুরো ইনিংসে চারটা ক্যাচ হাত গলে বেরিয়ে গেছে স্বাগতিকদের। সে ক্যাচগুলো ফসকে না গেলে হয়তো দারুণ কিছুই অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি নিজেদের করা যায়নি ফিল্ডারদের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।