মাশরাফির ৫, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চার
৪০ বছরের দীর্ঘ জীবনে, একটা বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের ২২ গজে। দেখেছেন জীবনের বহু চড়াই উৎরাই। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচিত যেমন হয়েছেন। সেই পারফরম্যান্সেই আবার দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছেন নিন্দুকদের। বিপিএলে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়া মাশরাফি প্রায় দুই মাস পর এদিন ফিরেছিলেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। আর ফিরেই নজরটা টানলেন নিজের দিকে। চলতি ডিপিএলে প্রথমবারের মতো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জার্সিতে মাঠে নেমেই শিকার করলেন ৫ উইকেট। তার দিনে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ।
এদিন মূলত, মাশরাফির বোলিং কারিশমাতেই ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী মারুফের উইকেট হারানোর পর তা দারুণভাবে সামলে নিয়েছিল গাজী গ্রুপের আনিসুল ইসলাম ইমন ও প্রিতম কুমার। চেপে বসতে শুরু করেছিল লিজেন্ডস বোলাদের ওপর।
ইনিংসের ১১ তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে তুলে নিয়েই জুটি ভাঙেন মাশরাফি। প্রিতমকে ফেরান ১৪ রানে। এরপর টানা ৮ ওভারের স্পেল শেষ করেছেন মাশরাফি। ১৯ রান খরচায় শিকার করেছেন ৫ উইকেট। আর তাতেই ৩৫.৪ ওভারে ১৩৬ রানে অলআউট গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে আনিসুল ইসলাম ইমনের ব্যাট থেকে।
বোলাদের গড়ে যাওয়া সেই ম্যাচে জয় পেতে অবশ্য খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান শামীম পাটোয়ারির সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জিতেয়ে মাঠ ছাড়েন। জয়ের পথে সর্বোচ্চ ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। শামীমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান। এর আগে ওপেনার তৌফিক খান করেছিলেন ৩৬ রান। আর তাতেই ১৩২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে একরকম হেসেখেলে জয় পেয়েছে শুভাগত হোমের লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ১৩৬; (মারুফ ১৮, ইমন ৪১, আল-আমিন ১৭; মাশরাফি ৫/১৯, হালিম ২/২৪)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ১৩৭/৪; (তৌফিক ৩৬, রিজওয়ান ৪৭*, শামীম ২৬*; জীবন ৩/১৭)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী।