এখনও সেমির স্বপ্ন দেখছেন বাটলার
সাদা বলের দুই ফরম্যাটেরই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সময়ের অন্যতম শক্তিশালী দল নিয়েই নেমেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে। তবে শুরুতেই যেন তারা রাখল না নিজেদের নামের যথার্থ মান। যাদের বিপক্ষে জিতে গত আসরে বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল, তাদের বিপক্ষে হেরেই শুরু হল টুর্নামেন্ট, তাও আবার পুরোটাই একপেশে। তবে পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয়ে ভালোভাবেই ফিরেছে বাটলারের দল।
এরপরের ম্যাচেই ঘটল অঘটন। ইংল্যান্ড হারল আফগানদের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে যেবার ইংল্যান্ড তাদের প্রথম শিরোপা জেতে, সেখানে আফগানরা ছিল জয়শুন্য। এমন এক হারে হতাশা দলকে ভালোভাবেই গ্রাস করার কথা। তবে এখনি হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না দলটির অধিনায়ক জস বাটলার। এমন পরাজয়কে "বড় ধাক্কা" হিসেবে মানলেও "পুরোপুরি" বিশ্বাস রাখছেন ভারত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর।
ইংলিশদের সামনের যাত্রা আরও কঠিন হতে চলেছে। স্বাগতিক ভারত, বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া, আসরের বিধ্বংসীভাবে জানান দেয়া দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের সঙ্গে এখনও মোকাবেলা বাকি বাটলারদের।
বাটলার বলেন, “আমাদের সেই বিশ্বাস রাখতে হবে। এটি অবশ্যই একটি বড় ধাক্কা (আফগানদের বিপক্ষে ৬৯ রানের হার)৷ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে প্রথম তিনটি ম্যাচ কীভাবে শেষ হবে সে সম্পর্কে আমাদের ভিন্ন ধারণা ছিল৷”
তবে দলে একাধিক তারকা খেলোয়াড় থাকায় বিশ্বাস রাখছেন এবং লড়াই করে ফিরে আসার কথাও জানান তিনি।
টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের এক-তৃতীয়াংশ খেলা শেষ ইংল্যান্ডের। বাকি আর ৬ ম্যাচ। শেষ চারে পৌঁছাতে যেখানের বেশিভার ম্যাচেই জিততে হবে দলটিকে।
বিশ্বকাপের শুরুতে সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগ প্রেডিকশনে স্বাভাবিকভাবেই জায়গা পেয়েছিল ইংলিশরা। তবে শুরুর দুই সপ্তাহ না যেতেই ভিন্ন রুপেই মর নিয়েছে বিশ্বকাপ। স্বাগতিক ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডরা ধরে রেখেছে তাদের ফর্ম। অন্যদিকে শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান থাকছে সম্ভাবনায়। তাই শেষ চারে পৌঁছাতে কঠিন কিছুকেই জয় করতে হবে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নদের।