শ্রীলঙ্কাকে ২৮০তে বেধে রাখল বাংলাদেশ
এখন তো রীতিমতো আফসোসই হচ্ছে! কামিন্দু মেন্ডিসকে যদি শূন্য রানে হটিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে হয়তো তিন অঙ্কই ছুঁত না শ্রীলঙ্কার রান! মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা তুলেছেন ২০২ রান। সে জুটি ভাঙার আগে ১৭ রানে শ্রীলঙ্কা খুইয়েছিল তাদের ৪ উইকেট, তার ঠিক পরে ২১ রানে খুইয়েছে শেষ পাঁচ উইকেট। দলটা অলআউট হলো ২৮০ রানে। সে জুটিটা না হলে শ্রীলঙ্কার সামগ্রিক রানটা হয়তো এত বড়ও হয় না!
৫৭ রানে লঙ্কানদের ৫ উইকেট তুলেই ফেলেছিল বাংলাদেশ। তখন মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে বুঝি প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কে শেষ করে দিতে চলেছে দল! তার একটা সুযোগ তৈরিও হয়েছিল ষষ্ঠ উইকেট জুটির একেবারে শুরুতেই! শরিফুলের বলেই কামিন্দু মেন্ডিস ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন স্লিপে। যা মাহমুদুল হাসান জয় লুফে নিতে পারেননি। হাত ফসকে বেরিয়ে যায় সুযোগটা।
এরপর কামিন্দুর সঙ্গে মিলে ধনাঞ্জয়ার জুটি বাংলাদেশকে কমপক্ষে দেড় সেশন ধরে ভুগিয়েছে। প্রথম সেশনের নাজেহাল অবস্থার পর দ্বিতীয় সেশনে খেলাটা নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেয় লঙ্কানরা। সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেছেন কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার দুজনেই। তবে সেঞ্চুরির পরপরই নাহিদ রানার প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট বনে বিদায় নেন কামিন্দু। এরপর সেঞ্চুরির পর ধনাঞ্জয়াও রানার শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
পরের তিন উইকেট তুলে নিতে বাংলাদেশকে অবশ্য বেগ পেতে হয়নি। কামিন্দুর বিদায়ের দশ ওভারের ভেতর ২১ রান খরচায় বাকি ৫ উইকেট তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার পর নাহিদ রানা ফেরান প্রবাথ জয়াসুরিয়াকেও। তাইজুল বিদায় করেন বিশ্ব ফার্নান্দোকে। শেষ ব্যাটার হিসেবে লাহিরু কুমারা রান আউট হলে ২৮০ রানে শেষ হয় লঙ্কানদের ইনিংস।