রানার গতিতে মুগ্ধ অ্যাডামস দায়িত্ব নিতে বললেন ব্যাটারদের

রানার গতিতে মুগ্ধ অ্যাডামস দায়িত্ব নিতে বললেন ব্যাটারদের

সিলেটের শেষ বিকেলের ১০ ওভার বাদ দিলে দিনটা বাংলাদেশের হতেই পারত। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। লঙ্কানদের ২৮০ রানে অলআউট করে শেষ বিকেলে ১০ ওভারে ৩২ রান করেই যে ৩ উইকেট খরচ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে হতাশা ঝরেছে পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের কণ্ঠেও। তবে পিচ যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক বলেই ব্যাটারদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।

সিলেটে এদিন অভিষেক হয়েছে পেসার নাহিদ রানার। এই তরুণ শুরুতে অনেক রান খরচ করলেও পরে লঙ্কানদের দুই সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসকে ফিরিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতেই লঙ্কানদের আটকানো গেছে ২৮০ রানে। এর বাইরে রানা মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তার গতিতে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়মিতই ১৪০ এর বেশি গতিতে বল করেছেন রানা। যা মুগ্ধ করেছে অ্যাডামসকে। তবে উন্নতির জায়গাও দেখছেন তিনি।

রানাকে নিয়ে অ্যাডামস বলেন, ‘সে প্রতিভাবান ও গতিময়। আজ প্রায় সব বলই দেখলাম ১৪৫ কিলোমিটারে করেছে। দারুণ বোলিং অ্যাকশন। সে একেবারেই তরুণ এবং তার অনেক কিছুই শেখার আছে।’

এদিন সকালের শুরুতে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে দিয়ে ছিলেন খালেদ আহমেদ। তার বোলিং তোপেই ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল লঙ্কানরা। সেখান থেকে পরে ২৮০ রান তুলে ইনিংস শেষ করেছে লঙ্কানরা। তাই আক্ষেপ আছেই। তবে খালেদকে প্রশংসা করতে ভুলেননি অ্যাডামস, ‘তার বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ভালো। এই বোলিং আক্রমণটা বেশ নতুন। শরীফুল আজ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো করেছে। রানা ও খালেদ আজ জুটি বেঁধে ভালো বোলিং করেছে, যা দেখে ভালো লেগেছে।’

মাঝে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লঙ্কানদের দুই ব্যাটার ধনঞ্জয়া ও মেন্ডিস। এই জুটিতেই এসেছে ২০২ রান। যাকে বোলাদের অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করছেন অ্যাডামস, ‘ওরা অনেক চেষ্টা করেছে। ওদের চেষ্টা করতে দেখে আমি খুশি। আমাদের এখন শিখতে হবে যে আরও ভালোভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যায়।’

তবে শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ বিপদেই পড়ে গেছে বাংলাদেশ। খুইয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। তাই বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থানে। আর সে কারণেই ব্যাটারদের আরও দায়িত্ব নিতে বলছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়ে রেখেছেন ব্যাট করার জন্য উইকেট যথেষ্ট ভালো।

অ্যাডামস বলেন, ‘ম্যাচে কি অবস্থা তা এখনও বলা যাবে না। মাত্র একটি দিন শেষ হয়েছে। আর দেখতে হবে আমরা কেমন ব্যাট করি। আশার কথা পিচে কোন ভূত নেই, শুধু বাউন্সটা একটু বেশি। অবশ্যই পিচ কেমন তার উপর নির্ভর করে ম্যাচের ফল হবে না, আমরা কেমন খেলবো সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই শ্রীলঙ্কা কাল প্রথম বল থেকেই আমাদের আক্রমণ করবে। আমরা ওই অবস্থায় কিভাবে সফল হতে পারি সেটা দেখার বিষয়। এখন ব্যাটারদের খুব ভালো করতে হবে, এছাড়া ভিন্ন উপায় নেই। আমাদের তরুণ বোলিং লাইন সবচেয়ে সেরা সময়টা পার করেছে আজ। এবার ব্যাটারদের সামনে আসার পালা।’

সম্পর্কিত খবর