বৃষ্টির আগে-পরে লঙ্কার উইকেট বৃষ্টি
বৃষ্টি শেষ অনেক দিন ধরেই যেন চলেছে শ্রীলঙ্কার পিছু পিছু। এশিয়া কাপের কথা মনে করে দেখুন তো! নিজ দেশ থেকে এখন লঙ্কানদের দূরত্ব হাজার মাইলের। তবু বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি কুশল মেন্ডিসদের। ক্রিকেট মাঠে বৃষ্টি মোটেও কাম্য কিছু নয়, তবে বৃষ্টির আগে পরে যা হলো, শ্রীলঙ্কা তাও নিশ্চয়ই চায়নি। উইকেট যেভাবে পড়েছে, তার তুলনা তো স্রেফ বৃষ্টির সঙ্গেই হতে পারে!
এরপরও ১৯৯৬ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০৯ রানের পুঁজি পেয়েছে, তার কৃতিত্বের পুরোটা যাবে দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা আর কুশল পেরেরার ঝুলিতে। দুজনের ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটিটা যদি না হতো, তাহলে যে মাসখানেক আগের এশিয়া কাপ ফাইনালের কাছাকাছি কিছুর পুনরাবৃত্তি হতো না, তাও জোর গলায় বলা যায় না, দুই ওপেনার বাদে লঙ্কানরা যে ব্যাট করেছেই এমন! হিসেব বলছে ওপেনিং জুটিটা না হলে দুই অঙ্কেই অলআউট হয়ে যেত শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার মিলে তুলেছেন ১২৫, আর বাকি সবাই মিলে যে করেছেন মাত্র ৮৪!
অথচ শুরুটার কথা ভাবুন একবার, দুই ওপেনার নিসাঙ্কা আর পেরেরা মিলে রীতিমতো তুলোধুনো করছিলেন অজি বোলিং লাইন আপকে। পেরেরা ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন দুই বছরেরও বেশি সময় পর। ফর্মে থাকা নিসাঙ্কাও তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। শুরুর দশ ওভারে অস্ট্রেলিয়া উইকেট পায়নি, দুবার ফসকেছে নিসাঙ্কার ক্যাচ। পরের দশ ওভারেও নেই উইকেটের দেখা।
শেষ অনেক দিন ধরেই লঙ্কানদের ওপেনিং নিয়ে সমস্যা চলছিল। তবে মিডল অর্ডার এ সময় রান পেয়েছে প্রায় নিয়মিতই। আজ যখন ওপেনিং সফল হলো, লঙ্কানদের বড় রানের স্বপ্ন দেখাটা অমূলক কিছু ছিল না। ১২৫ রানে নিসাঙ্কা বিদায় নিলেও তাই সম্ভাবনাটা কম ছিল না দলটির।
কিন্তু এরপরই শ্রীলঙ্কা ধসে পড়েছে হুড়মুড়িয়ে। ১২৫ রানের পর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জুটিটা এসেছে দ্বিতীয় উইকেটে, ৩২ রানের। এরপর থেকে নিচ পর্যন্ত জুটি দুই অঙ্কে গেছে মোটে দুটো, তাও ১২ রান করে এসেছে দুটোতেই। আর বাকি সব এক অঙ্কের।
এমন কিছুর ফলটাও তো অনুমিত। শ্রীলঙ্কাও তাই গুটিয়ে গেছে মোটে ২০৯ রান তুলতেই। শুরুর ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের আশাটা যেভাবে উঁকি দিয়েছিল, তাও তাই ফিকে হয়ে গেছে অনেকটাই।