একাই লড়লেন তাইজুল বিপদে বাংলাদেশ
সকালটা বিপজ্জনক হতে পারে। সেই আশঙ্কা ছিল। হলোও তাই। সকালের শুরুর ঘন্টায় বাংলাদেশ আরো দুটি উইকেট হারালো। দুটোই শিকার করেন পেসার লাহিরু কুমার। শ্রীলঙ্কার এই পেসারের পেসই মুলত পরাস্ত হলেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও সকালে ব্যাট করতে নামা শাহাদাত হোসেন দিপু।
৮৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলকে সামনে টেনে নিচ্ছিলেন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম ও লিটন দাস। লাঞ্চের খানিক আগে লিটন দাসও পেসার লাহিরুর সুইংয়ের কাছে হার মানলেন। উড়ে যায় তার স্ট্যাম্প। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৩২ রান। সেই সময় পর্যন্ত ১৪৮ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৮০ রান।
সিলেটের উইকেটের সকালের সেশনটা বোলারদের জন্য সাফল্যের সময়। বিশেষ করে পেসারদের জন্য। টেস্টের প্রথমদিন সেই দৃশ্যেরই দেখা মিলেছিল। শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে শুরুর দেড়ঘন্টায় ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটি অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ২০২ রানের যোগফল তাদের শুরুর সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে। এই দুজনেই সেঞ্চুরি হাঁকান। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ২৮০ রানে।
জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ প্রথমদিনের শেষ বিকালে ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। কাল সকালের শুরুতেও আরো দুই উইকেট হারায়। টপঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ব্যর্থতা দারুণভাবে মিলমিশ খাচ্ছে। শুরুর ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা মাত্র একটি বড় জুটিতেই বিপদ এড়িয়ে ২৮০ রান তুলেছিল।
একশ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এখন কাঁধে চেপে বসা বিপদ কাটিয়ে কতদুর যেতে পারে সেটাই দেখার বিষয়। তাইজুল ও লিটন দাসের ব্যাটিং ভরসা দিচ্ছিল। কিন্তু লাঞ্চ ব্রেকের আগেভাগে লিটন দাস ব্যাট ও প্যাডের মাঝে বিশাল ফাঁক রেখে বোল্ড হলেন। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামের সঙ্গে শেষ জেনুইন ব্যাটার হিসেবে উইকেটে টিকে ছিলেন কেবল মেহেদি মিরাজ। তাকেও ফেরত যেতে হয় রাজিথার ওভারে।
উইকেটে গেঁথে থাকলে সিলেটের এই উইকেটে যে রান করা যায়-তার প্রমাণ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ব্যাটিং দক্ষতার ভালো একটা উদাহরণ রেখেছেন তিনি। মুলত বোলার হিসেবে খেলেন। কিন্তু যখনই ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব কাঁধে চাপে, পরিপূর্ণভাবে তা পালনের চেষ্টা করেন। সিলেট টেস্টে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংসে এখন পর্যন্ত সেরা ব্যাটার তাইজুল ইসলামই। ৮০ বলে চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৬/৮ (৪৯ ওভার)