বাংলাদেশের হতাশার সেশনে ম্যাচটাই কি বের করে নিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা?
বিরতির আগের ঠিক শেষ ওভার। খালেদ আহমেদ পুরো রান আপ নিয়েও বলটা করলেন না। নন স্ট্রাইকে থাকা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ছিলেন ক্রিজের বাইরে। তাকে রান আউট করার একটা চেষ্টাই করেছিলেন খালেদ, সফল হননি তাতে।
ধনাঞ্জয়াকে ‘মানকাড’ করতে খালেদের এই ব্যর্থ চেষ্টাই বলে দিচ্ছে, একটা উইকেটের জন্য ঠিক কতটা মরিয়া বাংলাদেশ! সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে এসে আবারও দলকে ভোগাতে শুরু করেছে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিসের জুটি। তাদের এই জুটি ভাঙতেই এমন মরিয়া চেষ্টাটা করেছিলেন খালেদ।
প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা এই জুটি দ্বিতীয় ইনিংসেও করে ফেলেছে সেঞ্চুরি। তাতে ভর করে শ্রীলঙ্কার সকালটা কাটল দুর্দান্ত, সেশন শেষ করল ৬ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে। আর এখনই ৩২৫ রানের লিড মাথার ওপর নিয়ে বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেল একরাশ হতাশা নিয়ে।
অথচ দিনের শুরুর প্রতিজ্ঞাটা ছিল পুরোপুরি উল্টো! প্রথম দিনে সকালের সেশনটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তার অনুপ্রেরণা নিয়েই কি না, তৃতীয় দিন সকালেও একই কাজ করার অভিপ্রায় আগের দিন জানিয়ে রেখেছিল স্বাগতিকরা।
খালেদ আহমেদ নাইটওয়াচম্যান বিশ্ব ফার্নান্দোকে সরিয়ে প্রাথমিক কাজটা সেরে রেখেছিলেন। তবে এরপর আবারও দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে গেলেন ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু। ১২৬ রানে শ্রীলঙ্কা তাদের সবশেষ উইকেটটা খুইয়েছিল। সেখান থেকে এখন ২৩৩ রান তুলে ফেলেছে লঙ্কানরা। দুজনের জুটি আবারও তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেছে। প্রথম সেশনে এই দুজনের কল্যাণেই শ্রীলঙ্কা তাদের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ১১৪ রান, তাও মাত্র একটা উইকেট খুইয়ে, রান রেট ৪.২২!
লিডটাকে বাংলাদেশ আটকে রাখতে চেয়েছিল ২৫০ এর মধ্যেই। তা হয়নি। লিড ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছে ৩০০, শ্রীলঙ্কার চাওয়া ছিল তাই। তবে তারা এখনও নিজেদের ইনিংস শেষ করেনি। এই লিড আরও বাড়িয়ে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়ে তবেই যে লঙ্কানরা থামতে চাইবে, তা বলাই বাহুল্য।
তবে প্রথম ইনিংসে যেভাবে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ, তাতে একটা প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে, ম্যাচটা কি ইতোমধ্যেই স্বাগতিকদের হাতছাড়া হয়ে যায়নি?
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ২৮০ ও ২৩৩/৬, ৬৩ ওভার (ধনাঞ্জয়া ৮৫*, করুনারত্নে ৫২, কামিন্দু ৫০*; নাহিদ ৭৯/২)
বাংলাদেশ ১৮৮।
শ্রীলঙ্কা ৩২৫ রানে এগিয়ে।