জয়ের আশা ছেড়ে ভালো ব্যাটিংয়ে মনোযোগ মিরাজের
৩৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে দল যখন ভয়াবহ বিপদে। উইকেটে এসে ডাউন দ্য উইকেটে বিশ্ব ফার্নান্দোকে ছক্কা হাঁকাতে গেলেন লিটন দাস। ছক্কা তো হলোই না উল্টো অ্যাঞ্জেলু ম্যাথিউসের হাতে ধরা পরলেন বিপদ বাড়িয়ে। এই শটের মধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সার্বিক চিত্রই যেন ফুটিয়ে তুললেন লিটন। দায় সারা এমন ব্যাটিংয়ের উত্তর যেমন দিতে পারবেন না লিটন দাস। তেমনি দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে উত্তর দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ।
উত্তর দিবেনই বা কি করে? ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানে যখন ৫ উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসে কোনো দল। তখন সেই দলের ক্রিকেটারদের মুখ দিয়ে উত্তর বের করাটা তো কঠিনই বটে। তাই এমন দায় সারা ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যাটা তাদেরকেই দিতে বলেছেন মিরাজ।
বলেন, ‘এটার ব্যাখ্যা আসলে যে প্লেয়ার খেলে সে ভালো বলতে পারবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই মোমেন্টে কী চিন্তা করছে। আমার কাছে মনে হয় শেষ দিকে এটা কঠিন অবশ্যই। আমাদের চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। তারপরও ভালো খেলার চেষ্টা করব আমরা যারা আছি। মুমিনুল ভাই রান করতে পারলে ভালো, আমি যদি ব্যাটিং করি ভালো একটা অবস্থানে যদি নিতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
লঙ্কানদের অবস্থাও অনেকটা বাংলাদেশের মতোই ছিল। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও মাঝে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস জুটি গড়ে ম্যাচটা বের করে এনেছেন। দুই ইনিংসেই দু’জনে দারুণ ব্যাট করেছেন। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তাই তাদের থেকে শিক্ষা নিয়েই চতুর্থ দিনে শেষ চেষ্টা করতে চায় বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন মিরাজ।
বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আমরা অনেক দিন ধরে খেলছি। প্রস্তুতি সবাই আলাদাভাবে নিচ্ছে। সবাই সবসময় জানে আমাদের কন্ডিশন সম্পর্কে। আর আলাদা করে যা বললেন টেস্ট ক্রিকেটে সবসময় ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হয়, তখন খেলাটা আরও বড় হয়। আমরা যখন ওদেরকে প্রথম সেশনে ৫ উইকেট নিয়ে ফেলেছিলাম তখন অনেকেই চিন্তা করেছিল ওদেরকে ১০০ রানের ভেতরে অলআউট করে দেব। তারপর কিন্তু ওরা জুটি গড়েছে। দুইজনে দুইটা ১০০ মেরেছে। টেস্ট ক্রিকেটটাই কিন্তু এরকম। উপরে যদি কেউ ভালো না খেলে কিন্তু পরে যদি ২ জন ২টা ১০০ মারে বা ১৫০ মারে তাহলে কিন্তু হয়ে যায়।’