দ্বিতীয় টেস্টের আগে অনেক কাজ বাকি, বলছেন অধিনায়ক শান্ত
টেস্টে অধিনায়কত্ব আগেও করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ম্যাচ জিতেছেনও। নিজেও সেই টেস্টে ভালো পারফরমেন্স করেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তিন ফরমেটের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এটাই ছিল তার প্রথম টেস্ট। অধিনায়ক এবং খেলোয়াড় হিসেবে সেই টেস্ট এখন দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবেন শান্ত। দল চরম ব্যর্থ হয়েছে। তিনি নিজেও পারফর্মেন্স করতে পারেননি।
৩২৮ রানে সিলেট টেস্টে হারের পর কারণ ব্যাখ্যায় নাজমুল হোসেন শান্ত বলছিলেন, এমনটা ঘটে কখনো কখনো। তবে যে কায়দায় শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস উভয় ইনিংসে ব্যাট করেছে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। দুই ইনিংসে আমাদের পেস বোলাররা যেভাবে শুরু করেছিল তাতে আমি গর্বিত। কিন্তু আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থ হয়েছে। উইকেট ভালো ছিল। শুরুতে বলে সুইং ও মুভমেন্ট ছিল। নতুন বলে আমরা পুরোদুস্তর ব্যর্থ হয়েছি। নতুন বলে আমাদের ব্যাটিংটা উন্নত করতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টের আগে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে ভালোভাবে ফিরে আসার জন্য আমরা পরিকল্পনা করছি।’
গোটা টেস্টের উভয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্বীকৃত সব ব্যাটার ব্যর্থ হয়েছেন। অবশ্য এই অভিযোগ থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পেরেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের ১৮২ রানের মধ্যে শেষ ইনিংসে তার একাই রান ৮৭। লড়াই যা করার তার একাই করেন এই বাঁহাতি। সঙ্গী হিসেবে শেষের দিকে খানিকটা সমর্থন পান মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের। মুমিনুলের অপরাজিত এই ৮৭ রানের সুবাদে সিলেটে ম্যাচ হারের সময়টা শুধু একটু বিলম্বিত করতে পারে বাংলাদেশ।
মুমিনুলের ইনিংস প্রসঙ্গে অধিনায়ক শান্ত বলছিলেন, ‘দারুণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। দেখিয়েছেন অভিজ্ঞতা কাকে বলে। আমরা তার কাছ থেকে এমন ইনিংসই আশা করছিলাম। আশা করছি এই ফর্মটা তিনি অব্যাহত রাখবেন।’
বাংলাদেশ এখন চট্টগ্রাম টেস্টেও দল ঘোষণা করেনি। সিলেট টেস্টে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতার পর নিশ্চিতভাবে চট্টগ্রাম টেস্টে দলে বদল আসছে। সিলেট টেস্টে কয়েকজন ব্যাটারের আউটের দৃষ্টিকটু ভঙ্গি তীব্র সমালোচনা ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন দাস যেভাবে প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন তাতে পরের টেস্টের একাদশে তিনি জায়গা হারালে অবাক হওয়ার কিছু নেই! দুই ওপেনারও ধারাবাহিকভাবে এই টেস্টে ব্যর্থ।
সিলেটে ৩২৮ রানের বিশাল হারে বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কার পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে। ২০ উইকেটের ২০টি শ্রীলঙ্কার পেসারদের ঝুলিতে। ইনিংসের শুরুতে সুইং নির্ভর পেস বোলিং সামাল দিতে বাংলাদেশ পুরোদুস্তর ব্যর্থ হয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে অনেক হোমওয়ার্ক করতে হবে বাংলাদেশ দলকে।