শ্রীলঙ্কাকে হতাশায় ডুবিয়ে খাতা খুলল অস্ট্রেলিয়া
দুই ম্যাচে দুই হার। এ ম্যাচে নামার আগে অস্ট্রেলিয়া আর শ্রীলঙ্কা দুই দলেরই পয়েন্টের খাতাটা ছিল শূন্য। এ ম্যাচটা তাই ছিল দুই দলের জন্যই খাতা খোলার লড়াই। সে লড়াইয়ে শেষমেশ অস্ট্রেলিয়াই হাসল শেষ হাসি। শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে তো হারিয়েছেই, ১৪.৪ ওভার হাতে রেখে জিতে নেট রান রেটের খাতাতেও নিজেদের বেশ খানিকটা ওপরে নিয়ে এসেছে দলটি।
ম্যাচের আগেই একটা ধাক্কা খেয়ে বসেছিল লঙ্কানরা। চোটের কারণে খুইয়ে বসেছিল অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে। নতুন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস আজ নামেন টসে। ভাগ্য সঙ্গ দেয়, টস জিতে নেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত।
সে সিদ্ধান্তটাকে সঠিকই মনে হচ্ছিল, অন্তত শুরুর দিকে। শেষ দুই বছরে ফিফটির দেখা না পাওয়া কুশল পেরেরা পেয়ে যান ফিফটির দেখা, ফর্মে থাকা পাথুম নিসাঙ্কাও ছিলেন ছন্দে। তবে ফিফটির পর সেটা আর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি দুজনে। যদিও যে ভিত্তিটা দুই ওপেনার এনে দিয়েছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ৩০০ ছাড়ানো বুঝি খুব সম্ভব। তবে দলীয় ১২৫ রানে নিসাঙ্কা ফিরতেই বদলে যায় পরিস্থিতিটা। অ্যাডাম জ্যাম্পার স্পিনের সামনে খাবি খায় দল। ৮৪ রানের এদিক ওদিকে খুইয়ে বসে দশ উইকেটের সবকটি!
দারুণ শুরুর পর ২০৯ রানের পুঁজি। লখনৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামের উইকেটে এ পুঁজি যথেষ্ট নয়, সঙ্গে হাত ফসকে যাওয়া মোমেন্টামটাও তো ছিল অজিদেরই পক্ষে! দারুণ শুরুতে সেটা শ্রীলঙ্কার পক্ষেই নিয়ে আসেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। এক ওভারে তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথের উইকেট।
তবে মারনাস লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে সে ধাক্কাটা সামলে নেন মিচেল মার্শ। তাদের ৫৭ রানের জুটিটা যখন ভাঙল মার্শ রান আউটের কাটায় পড়ে গেলে, তখন আবারও খানিকটা বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল অজিরা। সেটাও সামাল দেন লাবুশেন, সঙ্গে পান জশ ইংলিসকে। সে জুটিটা ভাঙেন দিলশান মাদুশাঙ্কা, লাবুশেনকে ফিরিয়ে।
এরপরও শ্রীলঙ্কার যা আশা ছিল, সব উবে যায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে। তার ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে দ্রুতই জয়ের বন্দরে এগোতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করা ইংলিস শেষে এসে আউট হন দুনিথ ভেল্লালাগের বলে। কিন্তু তাতে অবশ্য অজিদের জয়টা আটকে থাকেনি। মার্কাস স্টয়নিস আর ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে চড়ে ঠিকই তুলে নেয় ৫ উইকেটের জয়।