২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে বিসিবি। যেখানে দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা মুখোমুখি হয়েছিল লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন এক সময়ের তারকা স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।

লাল দলের বিপক্ষে সবুজ দলের হয়ে খেলেছেন ৩৩ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ১০ ওভারের ম্যাচে ১২১ রান করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১ রানে ম্যাচ হারতে হয়েছে সবুজ দলকে।

এদিন টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের লাল দল। ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি লাল দলের। ওপেনার হান্নান সরকার ১০ রানে ফেরার পর দেশের ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপিও ফিরেন দ্রুতই। তবে সেই ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠে লাল দল।

ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স এবং তুষার ইমরান ব্যাট হাতে হাল ধরেন। দুজনেই রান তুলেছেন ঝড়ের বেগে। ডিকেন্স ১৭ বলে ২০০ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৪ রান। অন্যদিকে ১৬ বল খেলে তুষার ইমরান করেন ৩১ রান। শেষ দিকে ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলেন আব্দুর রাজ্জাক। আর তাতে নির্ধারিত ১০ ওভার শেষে লাল দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেন জাবেদ ওমর।

বড় লক্ষ্যে উইকেটে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে আসেন মোহাম্মদ রফিক ও জাবেদ ওমর জুটি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতা হয়নি তাদের। উইকেটের এক পাশে দাঁড়িয়ে রফিক ৩৩ বলে ৬৬ রান খেলে অপরাজিত থাকলেও আরেক ব্যাটার জাবেদ ওমন ছিলেন কিছুটা ধীরস্থীর। আর তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সবুজ দল। ম্যাচে ২৭ বলে জাবেদ ওমর করেন ৪০ রান। আর তাতে ১২০ রানের জবাবে সবুজ দলের ইনিংস থামে ১০৯ রানে।

অবশ্য ১১ রানে ম্যাচ হারলেও ৬৬* রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন রফিকই। ম্যাচশেষে যেই পুরস্কার তার হাতে তুলে দিয়েছে বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।