ফাহিমের ভুলে এগিয়ে যাওয়া হলো না বাংলাদেশের
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও দারুণ শুরু করে শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিটে ২ গোল হজম করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এদিন অবশ্য সেটি হয়নি। বরং সুযোগ ছিল ফিলিস্তিনের জালে বল জড়িয়ে উদযাপনে মাতার। প্রথমার্ধের হাইলাইটস হতে পারতেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম কিংবা মুজিবর রহমান জনির। তবে শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পাননি কেউই। আর তাদের ভুলে ফিলিস্তিনের জালে বল জড়ানো হয়নি বাংলাদেশেরও। প্রথমার্ধ থেকেছে গোল শূন্য সমতায়।
এর আগে দুই দলের প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে প্রথম লেগের ভুল দ্রুতই শুধরে উঠেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। দ্বিতীয় ম্যাচে অন্তত রক্ষণভাগকে এতটা অসহায় মনে হয়নি। এদিন কেবল রক্ষণ সামলানোয় নয় কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ কবার গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ সানিয়েছে জামাল-ফাহিমরা। সুযোগও তৈরি হয়েছিল বেশ কিছু।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে তো ফিলিস্তিন গোলরক্ষককে একাই পেয়ে গিয়েছিলেন ফাহিম। তবে ফিলিস্তিন গোলরক্ষক এগিয়ে এসে পথে বাধা তৈরি করলে তাকে টপকে বল জালে জড়াতে পারেননি ফাহিম। এরপরও ফিরতি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় গোল উৎসবে মাতার সুযোগ ছিল জনির। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। উল্টো গোলরক্ষকে আঘাত করে দেখেছেন হলুদ কার্ড।
এই দুই আক্রমণের বাইরে বেশ ক’বার আক্রমণে গিয়েছে ফিলিস্তিনও। তবে এদিন প্রথম লেগের মতো কোনো ভুল করেনি কাবরেরার শিষ্যরা। নিজেদের রক্ষণটা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলেছে জামাল-তপুরা।
প্রথমার্ধে গোল শূন্য সমতায় থাকায় অর্ধেকটা কাজ সারা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এখন বাকি অর্ধেক কাজটা ঠিকঠাক হলে ম্যাচে অন্তত একটি পয়েন্ট অর্জন করবে বাংলাদেশ। আর সেটি হলে কিংস অ্যারেনায় কখনও না হারার রেকর্ডটাও অক্ষুন্ন থাকবে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ:
মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, শাকিল হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদউদ্দিন, জামাল ভুঁইয়া , মোহাম্মদ হৃদয়, সিনিয়র সোহেল রানা, মজিবর রহমান, রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ।