‘সামর্থ্যের ১০ ভাগ’ও দিতে পারেনি বাংলাদেশ

‘সামর্থ্যের ১০ ভাগ’ও দিতে পারেনি বাংলাদেশ

নারী ক্রিকেট ইতিহাসের সবচাইতে শক্তিশালি দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়াটা হয়তোবা টাইগ্রেস ভক্তরা খুব একটা হতাশাজনক ভাবে নেবেনা কিংবা খুব বেশি সমালোচনাও হবে না। তবে হতাশার বড় দিক হলো ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স। একেবারেই লড়াই করতে না পারা, প্রতিরোধ করতে না পারা, নিয়মিতই ব্যাট হাতে সবার ব্যর্থতা। যেগুলো হতাশ করেছে বাংলাদেশকে। 

৮৯, ৯৭ এবং ৯৫- এই ইনিংস গুলোই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে কতটা অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন জ্যোতি-ফারাজানারা। শেষ এক বছরের বাংলাদেশের সাথে এই বাংলাদেশের যে বড্ড তফাৎ। সামর্থের কতটুকু দিতে পেরেছেন জ্যোতিরা? 

বিষয়টা অকপটে স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বললেন, ‘১০ শতাংশও পারিনি। আমি নিজেও চমকে গেছি, সত্যি বলতে। কারণ সব বিভাগ মিলিয়ে শেষ ছয় মাসে যেমন ক্রিকেটটা আমরা খেলেছি, তা পুরোপুরি আলাদা ছিল!’

সিরিজে বাংলাদেশের অবস্থা এমণ ছিলো যে লড়াই করার মতো পুঁজিই পাননি বোলাররা। প্রথম ম্যাচে সেই সুযোগ পেয়েছেন, বলা যায় অনেকটাই কাজে লাগিয়েছেন। ৪৯ তম ওভার শেষেও ম্যাচে এগিয়ে ছিলেন সুলতানা-নাহিদা-মারুফারা। যে রানে আটকে ছিলেন অজিদের সেটা অজিদের সবশেষ ১৪ ইনিংসে পুরো ইনিংস  খেলে সর্বনিম্ন। এমন ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ে হতাশার কারণ না থাকাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, ‘নাহিদা, রাবেয়া…  মারুফাও দুইটা ম্যাচে ভালো বল করছে। প্রত্যেক ম্যাচে স্পিনাররা ভালো বল করেছে। তাদেরও আমাদের বিরুদ্ধে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। বোলিং ইউনিট হিসেবে আমাদের ইতিবাচক দিক আছে অনেক।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন হার, এভাবে আত্মসমর্পণকে বিশ্বকাপের আগে ওয়েক আপ কল হিসেবে দেখছেন জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘হেরে গেছি, তিনটা ম্যাচের একটাতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারিনাই। একটা দিক থেকে আমাদের ভালো হয়েছে, বিশ্বকাপের আগে সতর্কবার্তা পেয়ে গেছি আমরা, যে এভাবে চললে হবে না, আরও ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে, না হলে আমরা বড় দলের বিপক্ষে এভাবে সংগ্রাম করতেই থাকব।’

সম্পর্কিত খবর