৫২৩ রানের রেকর্ডময় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রেকর্ড ২৭৭ রানের বিপরীতে ২৪৬ রান তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এতে ৫২৩ রানের ঝড় বয়ে যাওয়া ম্যাচে ৩১ রানের জয় পায় হায়দরাবাদ। লক্ষ্যটা পাহাড় সমান করলেও ‘টিম অরেঞ্জ’দের খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি হার্দিক পান্ডিয়ার দল। লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ ওভার পর্যন্ত রান তুলছিল সমান তালে। শেষ ৬ ওভারে ম্যাচ জিততে মুম্বাইয়ের দরকার ছিল ৯৬ রান। সেখানেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা তিলক ভার্মার আউটের পরই খেই হারিয়ে বসে তারা। এবং শেষ হাসি হাসল প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদই। আসরে এটিই তাদের প্রথম জয়।
হায়দরাবাদের মাঠে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ১৭ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল কোহলি-গেইলরা। যার এক দশক এপ্রিয়ে রেকদ এখন হায়দরাবাদের।
এদিকে কেবল ইনিংস সংগ্রহের রেকর্ডই নয়, ম্যাচটিতে হয়েছে ছক্কার রেকর্ডও। দুই দল মিলিয়ে মোট ছক্কা হয়েছে ৩৮টি, যা আইপিএলের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুর ১০ ওভারেই ১৪১ রান তুলে ফেলেছিল মুম্বাই। লড়াইটা ততক্ষণেও চলছিল সমানে-সমান। তবে শেষ ১০ ওভারে খেই হারিয়ে বসে তারা। সেখানে আসে ১০৫ রান। এতেই শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রান থামতে হয়ে হার্দিক-রোহিতদের। সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে তিলক ভার্মার ব্যাট থেকে। এছাড়া টিম ডেভিড অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ফোটান হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। যার শুরুটা আসে অস্ট্রেলিয়ার ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ট্রাভিস হেডের হাত ধরে। সেই সুরে পরে তাল মেলান অভিষেক শর্মা, এইডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেন। দ্বিতীয় উইকেটে হেড-অভিষেকের ৬৮ রানের জুটিতে যেন সমান তালে রান তুলেছেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার। হেড ২৪ বলে ৬২ রানে ফেরার পর অভিষেক ২৩ বলে করে ৬৩ রান।
পরে চতুর্থ উইকেটে এসে রানের ঝড়ে আরও এক মাত্রা যোগ করে ক্লাসেন ও মার্করান। শেষ ৯ ওভারে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১১৬ রান যোগ করে দুই প্রোটিয়া সতীর্থ। সেখানে ৪২ রান করেন মার্করাম এবং ৩৪ বলে ৭ ছক্কায় ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন ক্লাসেন। তবে ম্যাচ সেরার খেতাবটা যায় তরুণ অভিষেক শর্মার হাতেই। হেডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে এগিয়ে নিয়ে যান ২৩ বহর বয়সী এই তরুণ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ ২৭৭/৩ (২০ ওভার) (ক্লাসেন ৮০*, অভিষেক ৬৩, হেড ৬২; চাওলা ১/৩)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সঃ ২৪৬/৫ (২০ ওভার) (তিলক ৬, ডেভিড ৪২*, রোহিত ৩৪; কামিন্স ২/৩৫)
ফলঃ ৩১ রানে জয়ী সানরাইজার্স
ম্যাচসেরাঃ অভিষেক শর্মা