শামীম ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পারটেক্স
আগের ম্যাচেই প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সেই ভুল শুধরে ডিপিএলের পরের ম্যাচেই জয়ের ধারায় ফিরিছে মাশরাফি-শুভাগত হোমের দল। ফতুল্লায় এদিন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সুনামিই বইয়ে দিয়েছেন রূপগঞ্জের শামীম পাটোয়ারী। দুইশ স্ট্রাইকরেটে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে খেলেছেন ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাতে পারটেক্সের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য একরকম হেসেখেলেই পেরিয়ে গেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
ফতুল্লায় এদিন শুরুতে বল করতে নেমে ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে যায় রূপগঞ্জের বোলাররা। মাশরাফি অবশ্য এদিন কোনো উইকেট পাননি। তবে ঠিকই পারটেক্সের রানের লাগাম টেনে ধরেছিলেন। ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন মাত্র ৩০ রান। রূপগঞ্জ বোলারদের মধ্যে ৩টি উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম ও শহিদুল ইসলাম।
রূপগঞ্জ বোলারদের দিনে পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া সুবিধা করতে পারেনি দলটির কোনো ব্যাটার। ৪৭.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে ১৯১ রান।
জবাব দিতে নেমে ওপেনার ইমরানুজ্জামান ১২ রানে সাজঘরে ফিরলেও দারুণ ব্যাট করেছেন তৌফিক খান তুষার ও শামীম পাটোয়ারী। দু’জনেই ছিলেন বেশ আগ্রাসী। তুষার ৬৬ বলে ৮৩ রান করে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত থামানো যায়নি শামীম পাটোয়ারীকে। বিপ্লবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ৭ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়েছেন তিনি। শামীমের তাণ্ডবেই মাত্র ২৫.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে যায় রূপগঞ্জ। টুর্নামেন্টে যা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পঞ্চম জয়। দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা শামীম।
এ ম্যাচ শেষে রূপগঞ্জের জয়ের সংখ্যা এখন ৫টি। প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত মোহামেডানের বিপক্ষেই হেরেছে রূপগঞ্জ। অন্যদিকে পারটেক্সের অবস্থা ঠিক তার উল্টো। ছয় ম্যাচে তাদের পঞ্চম পরাজয় এটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ১৯১ (৪৭.২ ওভার); (মিজানুর ৮৮, তানভির ৩৬; শুভাগত ৩/২৪, শহিদুল ৩/২৯)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ১৯৫/৩ (২৫.৩ ওভার); (তুষার ৮৩, শামীম ৮৬*; রাকিবুল ২/৪০)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শামীম হোসেন পাটোয়ারী।