রিশাদের পাঁচ উইকেট, তবুও ডুবল শাইনপুকুর
ডিপিএল শুরুর পর থেকে একের পর এক ম্যাচ হারছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। চার ম্যাচ পর অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে এসে লিগের প্রথম জয় পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এবার দলটি তুলেছে টানা দ্বিতীয় জয়। হারিয়ে দিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। লিস্ট `এ' ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পেলেও দলকে জেতাতে পারেননি রিশাদ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্সের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারালেও আবদুল মজিদ ততক্ষণে ফিফটি হাঁকিয়ে ছুটছেন সেঞ্চুরির পথে। সঙ্গে দলকে নিয়ে যাচ্ছেন শক্ত অবস্থানে। মাঝে খুব লম্বা সময় সঙ্গ না পেলেও তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছে মাহমুদুল হাসান জয় ও রাহাতুল ফেরদৌস।
এরপরও শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে মজিদকে। কেননা, সময় থাকার পরও যে ৯৫ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে মজিদকে। এদিন অবশ্য ব্রাদার্সকে অনেকটা একাই ধসিয়ে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানোর পর এদিন ডিপিএলে বল হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ব্রাদার্স ব্যাটারদের ওপর। এরপরও ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২২ রানের লড়াকু ভিত পায় ব্রাদার্স।
জবাব দিতে নেমে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম অবশ্য কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন। তবে এরপর তিনি ৪১ রানে ফিরে গেলে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে শাইনপুকুর। শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে ৪৯ ওভারে এসে দলীয় ১৯৬ রানে। ব্রাদার্সের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রহমত আলী ও মনির হোসেন। ব্রাদার্সের জয়ে ৯৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন আবদুল মজিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ২২২/৯; (মজিদ ৯৫, মাহমুদুল ৩৬, ফেরদৌস ৩২*; রিশাদ ৫/৪৯, সানি ২/২৬)
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ১৯৬; (তানজিদ ৪১, মেহরাব ৩৬, জাওয়াদ ২৯; রহমত ৩/৩০, মনির ৩/৪০)
ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আবদুল মজিদ