রিয়ান দেখালেন সক্ষমতা, রাজস্থানের টানা জয়
এমন দিনের জন্যই হয়তো লড়ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের রিয়ান পরাগ। ব্যাটিং ছন্দহীনতার পরও একাদশে মেলে জায়গা, এতে বেশ সমালোচনার শিকার হতে হয় পরাগকে। আইপিএলের এবার আসর শুরু আগে ৫৪ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৬০০। এর মধ্যে সবশেষ আসরে ৭ ম্যাচ খেলে করেন স্রেফ ৭৮ রান। তবুও কেন তাকে ছয় আসর ধরে নিজেদের দলে ধরে রেখেছে রাজস্থান? সেই প্রশ্নের জবাব যেন বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিয়ান। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের পর এ ম্যাচে করেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস। তাও আবার দলের যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখনই। এতে ১৮৫ রানের ভালো সংগ্রহ পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। পরে এসে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত পারফর্মে ১২ রানের জয় পায় আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
এ নিয়েই টানা দুই ম্যাচেই জয় পেল রাজস্থান। এতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের পরেই তাদের অবস্থান।
জয়পুরে দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান।
চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তাদের ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন আভেশ খান। সেখানে ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। পরে আট রানের ব্যবধানে সাজঘরে পাড়ি জমান পন্তও। সেখানেই রাজস্থানের সহজ জয় দেখছিল সবাই। তবে ট্রিস্টান স্টাবসের নৈপুণ্যে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চালায় দিল্লি। এতে দলীয় সংগ্রহ ১৭৩ রানে থামলে ১২ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। আইপিএলের ক্যারিয়ার সেরা এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও যায় রিয়ানের দখলেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)
দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)
ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান
ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ