অশ্বিনের প্রশ্ন, আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেট?
আইপিএলের শুরুর থেকে এ পর্যন্ত সবকটা আসরে খেলেছেন, এমন বিরলপ্রায় ক্রিকেটারদের একজন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আইপিএলের বেড়ে ওঠার আদ্যোপান্ত জানতে তাই তার জুড়ি মেলা ভার। আইপিএলে সব আসরে খেলেছেন, শুধু এ কারণে নয়; ক্রিকেট মস্তিষ্কটাও যে বেশ তীক্ষ্ণ তার!
সেই তিনি সম্প্রতি এক পডকাস্টে জানালেন আইপিএল নিয়ে তার ভাবনা। আইপিএলের বিশ্বসেরা লিগ হয়ে ওঠার প্রশংসা যেমন তিনি করেছেন, ঠিক তেমনি উষ্মা প্রকাশ করেছেন এর বিপুল বানিজ্যিকীকরণ নিয়ে। তার প্রশ্ন, এত সব বিজ্ঞাপনের ভীড়ে আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেটের কাতারে পড়ে কি না!
প্রেইরি ফায়ার পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে এসে আমার ১০ বছর পরে কী হবে, টা নিয়ে ভাবার ফুরসৎ কোথায় ছিল? আমি শুধু বড় তারকাদের দিকেই তাকিয়ে থাকছিলাম! এখন আমি আইপিএলে অনেকগুলো মৌসুম কাটিয়ে বলতে পারি, আইপিএল বিশাল কিছু!’
কতটা বড়? যতটা বড় হলে ক্রিকেটটাই ছোট হয়ে যায়! কীভাবে? অশ্বিনের ভাষায়, ‘কখনো সখনো আমি ভাবি, আইপিএল কি আদৌ ক্রিকেট? কারণ এখানে তো খেলাটা পেছনে পড়ে যায়! এটা এতটাই বড়। এমনকি আমরা অনুশীলনটাও করি বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে। আইপিএল আমাদের এখানে নিয়ে গেছে।’
২০২২ সালে আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব ৪৮,৩৯০ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়ে যায় ৫ বছরের জন্য। যার ফলে বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় মূল্যবান লিগে পরিণত হয় আইপিএল, তাদের সামনে থাকে স্রেফ এনএফএল। এমন বড় অঙ্ক কোনো ক্রিকেট লিগ তো বটেই, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এনবিএ, মেজর লিগ বেসবলকেও পেছনে ফেলেছে।
অথচ শুরুর দিকে এমন কিছুর কল্পনাও কেউ করেননি! সেটা অশ্বিনই অকপটে স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘কেউ এমন কিছু কল্পনা করেনি। আমার এখনও মনে আছে, চেন্নাইয়ে থাকার সময় স্কট স্টাইরিসের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, যখন তিনি ডেকান চার্জার্সে খেলেছিলেন প্রথম মৌসুমে, তখন তার মনে হয়েছিল আইপিএল দুই বছরও টিকতে পারবে না।’
দুই বছর তো বটেই, আইপিএল এখন সেসব হিসেবেরও বাইরে। বিশ্বের সেরা ক্রিকেট লিগ বনে গেছে তো এই কারণেই!