উইকেটের দেখা মিলল না প্রথম সেশনে
‘পড়বি তো পড় মালির ঘাড়েই!’ এমনটা মনে হতেই পারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পিচ রিপোর্টে রাসেল আরনল্ড বলছিলেন, এটা টস জিতে ব্যাট করার উইকেট। সেদিনই কি-না টসটা হারলেন তিনি! শ্রীলঙ্কা জিতেছে টসে, নিয়েছে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না খুইয়ে ৮৮ রান তুলে জানান দিয়েছে, সিদ্ধান্তটা দারুণ ভালো ছিল তাদের।
কোনো উইকেট তুলে নেওয়া যায়নি, তার মানে এই নয় যে বোলিংটা যাচ্ছেতাই হয়েছে দলের। দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ চেষ্টার কমতি রাখেননি। হাসানই ছিলেন প্রথম সেশনে দলের সেরা বোলার। তার বল থেকে দুই ওপেনারই সুযোগ দিয়েছিলেন। তবে ফিল্ডাররা যদি সুযোগটা লুফে না নিতে পারেন তাহলে দায়টা কার!
প্রথম সুযোগটা এসেছিল দিনের সপ্তম ওভারে। মাদুশকা আগে থেকেই ছিলেন নড়বড়ে, এজ হচ্ছিল, আগের বলটা ক্যারি করেনি, করল শেষে এসে; হাসান মাহমুদের বলে তিনি ক্যাচ তুলে দিলেন স্লিপে। পেট সমান উচ্চতার বলটা তালুবন্দি করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়।
পরের সুযোগটা এল ২২তম ওভারে। এবার সুযোগটা দিলেন দিমুথ করুনারত্নে। ওই হাসান মাহমুদের বলেই হুক করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন ডিপ ফাইন লেগে। সেখানে সাকিব আল হাসান ক্যাচটা ধরতে পারেননি। দুর্ভাগা হাসান আরও একবার রইলেন দুর্ভাগাই।
দুর্ভাগ্যটা তো বাংলাদেশেরও! শুরুর সেশনটায় ২৭ ওভার করে উইকেট মেলেনি একটাও। দুটো সুযোগ লুফে নিতে পারলে হয়তো এখন স্কোরকার্ডটা থাকত ৮৮/২, কে জানে রান আরও কমও হতে পারত, উইকেটও আরও বেশি হতে পারত হয়ত! একটা রান আউটের সুযোগও যে মাঝে বেরিয়ে গেছে হাত ফসকে!
তবে বাংলাদেশ শেষমেশ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথম সেশনটা তাই শেষ হয়েছে হতাশায়। ৯ রানে জীবন পাওয়া মাদুশকা ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেছেন, কে জানে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যান কি না! ওদিকে ২২ রানে জীবন পাওয়া করুনারত্নে এখন অপরাজিত আছেন ৩৩ রানে। সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার আফসোসটা দুজন কত বড় করে ফেরত দেন তাই এখন দেখার বিষয়।