বৃষ্টির পর প্রোটিয়াদের দাপট

বৃষ্টির পর প্রোটিয়াদের দাপট

‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে... থুড়ি! আষাঢ় শেষ অনেক আগে, ভাদ্র-আশ্বিন শেষে কার্তিকের প্রথম দিন আজ। কিন্তু ধর্মশালার আকাশ দেখে কে বলবে তা! ম্যাথিউ হেইডেন, দীনেশ কার্তিকরা যখন পিচ রিপোর্টটা দিচ্ছিলেন একপশলা বৃষ্টি শেষে, তখন পেছনের আকাশ দেখে তো ঘোর আষাঢ় বলেই ঠাহর হচ্ছিল সময়টাকে!ক

আকাশ দেখে যা মনে হচ্ছিল, একটু পর তা সত্যিও হলো। বৃষ্টিতে ম্যাচ শুরু হতে হলো খানিকটা দেরি। তবে এরপর যা হচ্ছে, তাও একদম অনুমিতই। দারুণ দাপটে টুর্নামেন্ট শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা ছড়ি ঘোরাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের ওপর। টস জিতে ডাচদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ৫০ রান খরচাতেই যে তুলে নিয়েছে চারটি উইকেট!

ধর্মশালায় উচ্চতার কারণে বলে সুইং পাওয়া যায় খানিকটা। মাথার ওপর যখন থাকবে মেঘের ঘনঘটা তখন যে কোনো দলই চাইবে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে। সে ভাগ্যটা হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও জানালেন, টস জিতলে তিনিও নিতেন একই সিদ্ধান্ত। তবে ব্যাট করতেও সমস্যা নেই এখন দলের।

পিচ রিপোর্টে বলা হচ্ছিল, কালো মাটির উইকেটে ঘাস থাকায় বাউন্স আর ক্যারি থাকবে বেশ, শুরুর দিকে থাকবে বেশ সুইংও। তা কাটিয়ে দিতে পারলে ব্যাটিংটাও খারাপ হবে না খুব। পাঁচ ওভার উইকেটশূন্যভাবে কাটিয়ে দিয়ে ডাচ দুই ওপেনার বিক্রম সিং আর ম্যাক্স ও’দাউদ দলকে সে আশাই দেখাচ্ছিলেন।

তবে এরপরই সে আশা উবে গেল কাগিসো রাবাদার ছোবলে। ফেরালেন ওপেনার বিক্রমকে। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ১৫০তম উইকেট। এরপর মার্কো ইয়ানসেন এলেন দৃশ্যপটে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলিয়ে সাজঘরের পথ দেখালেন আরেক ওপেনার ম্যাক্সকে। সে ধাক্কাটা সামাল দিয়ে ওঠার আগেই রাবাদা তুলে নেন ডাচদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তারকা বাস ডি লিডের উইকেট। 

এরপর সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে সঙ্গে নিয়ে কলিন অ্যাকারম্যান খানিকটা আশা দেখাচ্ছিলেন বড় জুটির। কিন্তু সেটাও উবে গেল জেরাল্ড কোয়েটজির ছোবলে। অ্যাকারম্যানকে বোল্ড করে ফেরত পাঠান প্যাভিলিয়নে। ৫০ রান তুলতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস।

সম্পর্কিত খবর