চট্টগ্রামে ভরসা এখন ব্যাটাররাই
চট্টগ্রাম টেস্ট। সাগরিকার মাঠ যে পুরোদস্তুর ব্যাটিং পিচ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। টেস্টের দুই দিনেই চলেছে ব্যাটিং ‘শো’। প্রথম দিনেই ৪ উইকেটে ৩১৪ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে লঙ্কানরা। দ্বিতীয় দিনে এসেও দারুণ ছন্দে ছিল সফরকারীরা। তবে আগে টেস্টের জোড়া সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এই ইনিংসে ৭০ রানে ফিরলে কমে রানের চাকার গতি। তবুও কামিন্দু মেন্ডিসের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত পাঁচশ পেরোয় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ। সফরকারীদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫৩১ রান।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে এসে নিজেদের প্রথম ইনিংসে নামে বাংলাদেশ। সেখানে বাউন্ডারি মেরে ইনিংস শুরু করে যেন ভিন্ন কিছুর আভাস দেয় স্বাগতিকরা। সিলেট টেস্ট শান্ত-লিটনদের হারটা মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই। তা এড়াতে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। যদিও দিনের শেষ পর্যায়ে এসে নিজের উইকেট হারায় জয়। পরে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ২২ গজে নামেন তাইজুল ইসলাম।
দ্বিতীয় দিন শেষের ১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। লিড এড়াতে বাংলাদেশের এখনো চাই ৪৭৬ রান। যা তুলতে ব্যাটারদের ফর্মে ফেরাটা যেন অনেকটাই অনিবার্য। বোলারদের ব্যর্থ ইনিংস শেষে সিরিজ বাঁচাতে তাই এখন ব্যাটারদের দিকেই নজর বাংলাদেশের।
এদিকে সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই নাইটওয়াচম্যাচ হিসেবে নামেন তাইজুল ইসলাম। সিলেটে সেই ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছিলেন তিনি। এতে আরও একবার তাই তাইজুলের ওপরই ভরসা রাখল টিম ম্যানেজম্যান্ট।