ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলে বাংলাদেশ অলআউট ১৭৮ রানে

ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলে বাংলাদেশ অলআউট ১৭৮ রানে

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে করা একমাত্র ভুল শুধরে তৃতীয় দিনে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন জাকির হাসান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন আগের দিনে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল। তবে শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে থামতে হয় জাকিরকে। দ্বিতীয় দিনে ভুলের শুরু বাংলাদেশের।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাঝে মুমিনুল হক ছাড়া হাল ধরতে পারেনি কোনো ব্যাটার। একটা সময় ৩৩ রানে থামতে হয়েছে মুমিনুলকেও। আর তাতে লঙ্কানদের করা প্রথম ইনিংসে ৫৩২ রানের বিপরীতে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে মাত্র ১৭৮ রানে। লঙ্কানদের বিপক্ষে ফলোঅন এড়াতে হলেও ৩৩২ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। স্বাগতিকরা পারেনি সেটিও। প্রথম ইনিংসেই লঙ্কানদের চেয়ে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

এদিন দিনের প্রথম সেশনেই তিন উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল ইসলাম শান্ত ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি এই টেস্টেও। ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। এরপর তাইজুলও ফিরে যান ২২ রান করে। মুমিনুল ও সাকিব লাঞ্চের আগে বিপদ বাড়তে দেননি আর। অবশ্য লাঞ্চের পর আবারও সব এলোমেলো। সাকিব ১৫ রানে ফিরলে দ্রুতই ফিরেন লিটন দাস।

শাহাদাত দীপু ও মেহেদী মিরাজরাও সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুলকে। আগের টেস্টে ব্যাটারদের অভাবে সেঞ্চুরি না পাওয়া মুমিনুল এদিনও উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। একটা পর্যায়ে এসে ভুল করেছেন তিনিও। তবে সেই ভুলের পেছনে দায় আছে আম্পায়ারেরও। কেননা, আম্পায়ারস কল পক্ষে না থাকাতেই যে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।

মুমিনুলের পর হাল ধারার ছিল না কেউই। খালেদ-হাসানের কাছে বেশি প্রত্যাশা করেই বা কি লাভ। খালেদ ১ রানে থামলে ১৭৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশ অলআউট হলে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করার সিদ্ধান্ত জানায় আম্পায়ার। সিদ্ধান্ত এখন লঙ্কান অধিনায়কের। তিনি চাইলেই বাংলাদেশকে ফলোঅনে পাঠিয়ে পুনরায় ব্যাটিং করতে পাঠাতে পারেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৫৩২

বাংলাদেশ: ১৭৮; (জাকির ৫৪, তাইজুল ২২, মুমিনুল ৩৩; আসিথা ৪/৩১, বিশ্ব ২/৩৮,লাহিরু ২/১৯)

সম্পর্কিত খবর