ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়ে উন্নতি, জিততে গড়তে হবে রেকর্ড
চতুর্থ ইনিংসে ৪১৮ রানের বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। বাংলাদেশের সেই লক্ষ্যটা এরইমধ্যে হয়ে গেছে ৪৫৬। এখনও থামেনি শ্রীলঙ্কা। হাতে ৪ উইকেট। তাই চতুর্থ দিনে এই রানটা যে কোথায় গিয়ে ঠেকতে তা বলে দেবে সময়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের বেশ চাপেই রেখেছে বাংলাদেশ।
হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদের পেস তোপে ১০২ রান তুলতেই ৬ উইকেট খরচ করেছে সফরকারীরা। তবে প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে অলঅউট হয়ে লঙ্কানদের থেকে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে পড়ে; ওখানেই যেই ম্যাচ থেকে এক রকম ছিটকে গেছে নাজমুল শান্তর দল।
এরপরও টেস্টে শেষ বলে কিছু নেই। ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় টেস্টে। টেস্ট ক্রিকেটের এটাই সৌন্দর্য। তাই এখনও দুই দিন বাকি থাকায় স্বপ্ন দেখায় দুষ নেই। বরং জয়ের স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামতে হয়। লড়ে যেতে হয় শেষ পর্যন্ত। যেই লড়াইটা আজ চোখে পড়েছে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিংয়েও। আগের ইনিংসে ক্যাচ মিস করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সে দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররা।
শুধু ক্যাচ ধরায় নয়, চার বাঁচাতেও এদিন বলের পেছনে দৌড়াতে দেখা গেছে পাঁচ ফিল্ডারকে। এমন ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে লঙ্কানদের চাপে ফেলেছে বোলাররাও। নতুন বলে সুইং ও পেস কাজে লাগিয়ে লঙ্কান ব্যাটারদের দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান-খালেদরা। চতুর্থ দিনেও নিশ্চয় লক্ষ্যটা একই থাকবে তাদের। লঙ্কানদের যত দ্রুত বেধে ফেলা যায়। তবে সেই লক্ষ্যটা যে কম হবে না তা তো পরিষ্কারই।