বাতাসের কারণে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে লঙ্কানরা: জাকির
সফরকারী লঙ্কানদের ৫৩১ রানের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ১৭৮। একই উইকেটে প্রথম দুই দিন দারুণ ব্যাটিং করার পর তৃতীয় দিনে ৯ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ বিকেলে লঙ্কানরাও উইকেট হারিয়েছে ৬টি। তবে কি হঠাৎ বদলে যেতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের উইকেট? নয়তো বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই হাল কেন; এমন প্রশ্ন ছিল দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা জাকির হাসানের কাছে। তিনি অবশ্য বাতাসের জোরে বইয়ে চলাকেও একটা কারণ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন।
প্রথম দুই দিনে ১১ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় দিনে উইকেট পড়েছে ১৫টি। আর এর মধ্যে ৯টি বাংলাদেশের। ওপেনার জাকির হাসানের ৫৪ রান ছাড়া বলার মতো রান করতে পারিনি কোনো ব্যাটার। শেষ দিকে মুমিনুলের ৩৩ রানের কল্যাণে কোনো রকমে দেড়শ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। এমন দিনে ছিটকে যেতে বসেছে ম্যাচটা।
লঙ্কান বোলাররা কোনো বাড়তি সুবিধা পেয়েছে কিনা উইকেট থেকে; এমন প্রশ্নে জাকির বাতাসকে কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বটে। তবে একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্যাটারদের আরও ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল। জাকির বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, আজকে একটু বেশি বাতাস থাকার কারণে ওরা একটু বেশি হেল্প পেয়েছে। তাছাড়া বাকি সবই ঠিক ছিল। উইকেটও ভালো ছিল। তবে এটা আসলে কোনো কারণ হতে পারে না যে, ওইটার জন্যই আউট হয়ে গিয়েছি। আমাদের আসলে আরও ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল।’
শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০২ রান তুলে ৬ উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। জাকির একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাছাড়া ফিল্ডিংয়ে বাড়তি মনোযোগ লক্ষ্য করা গেছে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের মধ্যেও। এক বাউন্ডারি ঠেকাতে গিয়ে তো ৫ জন মিলেই বলের পেছনে ছুটেছেন। প্রথম ইনিংসে এতগুলো ক্যাচ মিস করা বাংলাদেশি ফিল্ডারদের হঠাৎ এমন মনোযোগ নিয়েও প্রশ্ন ছিল।
যার উত্তরে হাসানের প্রশংসা করে জাকির বলেন, ‘হাসান মাহমুদ খুবই ভালো বল করেছে। ও খুব ভালো মুভমেন্ট পেয়েছে, ভালো জায়গায় বল করেছে। যা দেখেও ভালো লেগেছে। আর টিম যখন ভালো করে, উইকেট পড়ে তখন স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ডিংয়ে বাড়তি প্রচেষ্টা চলে আসে। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি ওই প্রচেষ্টা ধরে রাখার। তবে ওই মুহূর্তটা তৈরি হয়েছিল আমাদের প্রয়াসের কারণেই। সবাই যেয়ে বলটা ধরতে চেয়েছে।’
জাকির আরও বলেন, ‘আজকে বাতাসের কারণে উইকেটে তারাও হেল্প পেয়েছে। আমাদের সময়ও আমরা পেয়েছি। আর তাছাড়া ফিল্ডিং মিসের কোনো অজুহাত হতে পারে না।’
বাংলাদেশি ব্যাটারদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে কিনা বা কার কি সমস্যা চোখে পড়েছে; এমন প্রশ্নে জাকির বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে কার কি সমস্যা হচ্ছে সেটা তো আসলে আমি বলতে পারব না। সেটা কোচ বা যে করছে সে হয়তো বলতে পারবে। তবে আমার কাছে মনে হয়, শর্ট নির্বাচনে আমাদের আরও ভালো হতে হবে। তবে দিনশেষে এসব কোনো অজুহাত হতে পারে না। কেননা, একটা টেস্ট ম্যাচ খেলার আগে আমাকে তো ওইভাবেই প্রস্তুতিটা নিয়ে আসতে হবে। আর ওই মানসিকতা আমার দিক থেকেও থাকা উচিত।’