ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

লক্ষ্যটা ১৬২। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জন্য যা দুঃসাধ্য। সেই কঠিন পথেই পা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনার দিলারা আক্তার তো ব্যাট হাতে শাসন করতে শুরু করেছিলেন অজি বোলারদের। তাতে দ্রুত রান আসছিল স্কোরবোর্ডে। তবে সেই রানটা কমে আসতে সময় নিল না খুব বেশি।

দলীয় ৩৪ রানে বাংলাদেশের উইকেট পতনের শুরু। এরপর মাঝের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ১০৩ রান তুলতে পরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছে ৫৮ রানের ব্যবধানে। সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটাও। এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানো গেলেই হয়। এই বাইরে হ্যাটট্রিক করে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে নজর করেছেন ফারিহা তৃষ্ণা।

অথচ ব্যাট হাতে এদিন স্বপ্নের মতোই এক শুরু এনে দিয়েছিলেন দিলারা। অজিদের বড় লক্ষ্যে শুরুতে রান তুলছিলেন ওভার প্রতি প্রায় ১০ গড়ে। তবে সেটা ধরে রাখা গেলনা লম্বা সময়। দিলারাকে উইকেটে রেখে ১২ বলে ৮ রান করে ফিরলেন মুরশিদা। এরপর মোস্তারি, আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া অধিনায়ক জ্যোতিরা দায়িত্ব নিতে পারেননি। চাপে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন দারুণ খেলতে থাকা দিলারাও। ফেলেন ২৫ বলে ২৭ রান করে।

এরপর বাকিরা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। একটা সময় তো শঙ্কা ঝেঁকে বসেছিল দলীয় শত রান পার করা নিয়েও। তবে সেই শঙ্কা দূর হয় রাবেয়ার ১৪ ও স্বর্ণার ২১ রানের ইনিংসে ভর করে। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১০৩ রানে। অজি বোলারদের মধ্যে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাশলে গার্ডনার ও সোফি মোলিনেক্স।

এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই এক উইকেট খরচায় ৪০ রান তোলে ফেলে অজিরা। পরের চার ওভারে রান তোলার গতি আরও বাড়ে সফরকারীদের। ওপেনার গ্রেস হ্যারিসের ৪৭ রানের ইনিংসে সপ্তম থেকে দশম ওভার পর্যন্ত ৫৪ রান যোগ করে তারা।

তিনে নেমে ৩০ বলে ১০ চারে ৫৭ রান করেন জর্জিয়া ওয়েরহ্যাম। শেষদিকে এলিস পেরি ২২ বলে ২৯ রান করে দলের রান পৌঁছে দেন দেড়শর ওপারে। তবে শেষ ওভারে এসে পেরি, সোফিয়া মলিনক্স এবং বেথ মুনিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা। অবশ্য, এর আগেও হ্যাটট্রিক করার কীর্তি আছে তৃষ্ণার। ২০২২ সালে এশিয়া কাপে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। এদিন ৪ ওভারের কোটায় ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা ও ফাহিমা। 

সম্পর্কিত খবর