মোহামেডানকে হেসেখেলে হারাল আবাহনী
বিপিএল থেকেই ব্যাট হাতে নিয়মিত রান পাচ্ছেন জাকের আলী অনিক। মাঝে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচেও নজর কেড়েছেন। সেখান থেকে এবার ফর্মটা টেনে নিয়ে গেছেন চলমান ডিপিএলে। ৭৬*, ২০, ৭৮ ও ৫৮ রানের পর এবার মোহামেডানের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলে দল আবাহনী লিমিটেডকে জিতিয়েছেন এই ব্যাটার। হয়েছেন ম্যাচসেরা।
জাকেরের দিনে মোহামেডানের করা ১৯১ রানের টার্গেট ৯০ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে আবাহনী। আর তাতে ৮ ম্যাচের ৮টি তেই জয় নিয়ে অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ফতুল্লায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে মোহামেডানের ব্যাটাররা। দলীয় ৫৭ রানেই হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নাসুম ও পরে আরিফুল হককে নিয়ে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ফিফটির পর ৫৪ রানে মাহমুদউল্লাহ সাজঘরে ফিরলে শেষ দিকের ব্যাটাররা রানটাকে খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি। অলআউট হতে না হলেও ৯ উইকেটে মাত্র ১৯০ রান তুলতে পেরেছে মোহামেডান। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব ৩১ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট।
সহজ লক্ষ্যে দলীয় ১৬ রানে ওপেনার এনামুল হক বিজয় ফিরলেও দলকে জয়ের পথ দেখান মোহাম্মদ নাঈম। জাকের আলী তিন নম্বরে নেমে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। দু’জনেই জুটিতেই এসেছে ১০৬ রান। আর সেখানেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় আবাহনী। নাঈম ৬২ বলে ৬৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও আফিফ হোসেনকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন জাকের। জাকের ৯০ বলে ৬ ছক্কা ও ৪ চারে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। অন্যপ্রান্তে আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
মোহামেডান: ১৯০/৯; (মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আরিফুল ৩৩; সাকিব ৩/৩১, তাসকিন ২/৫৮)
আবাহনী: ১৯৫/২; (৩৫ ওভার); ( নাঈম ৬৩, জাকের ৭৮*, আফিফ ৩৯*; রনি ১/২৫)
ফল: আবাহনী ৮ উইকেটে জয়ী।