এই ব্যবধান আকাশ-পাতাল: মুমিনুল
এই তো এক সিরিজ আগেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জয়ী নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাটিতে টেস্টে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেই একই দলটিই কিনা এবার খাবি খাচ্ছে তুলনামূলক দুর্বল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাসের ঘরের মতে ধসে পড়তে টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডার। পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যর্থ ব্যাটিং অর্ডার। মুমিনুলের লড়াই বাদ দিলে তা আরও হতশ্রী। ব্যাটারদের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হকের কাছে। তিনি অবশ্য এর জন্য নিম্নমানের ঘরোয়া ক্রিকেটকেই দায়ী করেছেন।
পুরো সিরিজ জুড়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ জানাতে গিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘কেনর কারণ খুঁজতে গেলে তো অনেক কিছুই আসতে পারে। হতে পারে অনেক দিন পর টেস্ট। কিন্তু আমি যদি বলি এটা অনেক দিন পর টেস্ট তবে আপনার কাছে হয়তো মনে হবে এটা একটা অজুহাত। দিন শেষে এটাও আসলে একটা কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। আবার আপনিই হয়তো তখন প্রশ্ন করে বসবেন আপনিও তো অনেকদিন পর টেস্ট খেলছেন। কিন্তু যারা খেলছে তাদের বেশিরভাগই সাদা বলে খেলে এসেছে। বিষয়টা নেতিবাচক হলেও এটাই সত্যি এবং বাস্তব। আমার কাছে এটাই মনে হয়।’
কিন্তু গত ডিসেম্বরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাই দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলল বাংলাদেশ, বলা যাচ্ছে না সেটি। তবে ক্রিকেটারদের লাল বলে না খেলাকে ব্যর্থতার একটা কারণ হিসেবে মানছেন মুমিনুল, ‘আপনি হয়তো আবার এটাও বলতে পারেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই তো দুই তিন মাস আগে খেলেছি। এর ভেতরে অনেকে ন্যাশনাল লিগ খেলেছে। তবে আমার কাছে মনে হয়, সাদা বল থেকে লাল বসে আসাও একটা কারণ হতে পারে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই ক্রিকেট খেলছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে পারফর্ম করলে পুরস্কার স্বরূপ জাতীয় দলে ডাক পাচ্ছেন। মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, শাহাদাত দীপুরা সেখানে পারফর্ম করেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। তবে সমস্যা হলো এখানে এসে নিয়মিত রান করতে পারছেন না কেউই। ফলে ভোগতে হচ্ছে দলকে। আর একারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিম্নমানকে দুষছেন মুমিনুল।
ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফারাকটা যে বিস্তার সেটা জানিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘আপনার কাছে কি মনে হয় ফাস্ট ক্লাস ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের মান সমান? আমি বুঝি কারণ আজকেসহ আমি ৬১টা ম্যাচ খেলছি। তবে শোনতে হয়তো খারাপ লাগবে তবে এটাই সত্যি যে আমাদের ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে অনেক তফাৎ। আকাশ পাতাল তফাৎ। এটা আমি আপনি সবাই জানে। এটা অজুহাত না এটাই সত্যি। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি অতটা চ্যালেঞ্জ ফেস করি না, যতটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেস করি। তবে এবার হয়তো টেস্ট নিয়ে সবাই চিন্তা করবে। কারণ এই বছর যেহেতু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা বেশি। তাই সবাই হয়তো লাল বল নিয়ে চিন্তা করবে।’