১১ ক্যাচ মিসের ব্যাখ্যা কী?

১১ ক্যাচ মিসের ব্যাখ্যা কী?

শেষ কবে কোনো একটা ম্যাচ দেখতে বসে এভাবে নিজের দমবন্ধ লেগেছে আপনার, বলতে পারবেন? তেমনই অচেনা হতে চলা একটা অনুভূতি ফিরিয়ে দিয়ে গেল সদ্যসমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজ। অনেক যন্ত্রণার এই সিরিজ অবশেষে শেষ। অবধারিতভাবেই বাংলাদেশ হেরেছে, ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও হয়েছে।

এই ধবলধোলাই হওয়ার পেছনের কারণ কী? এর উত্তরে প্রথমেই আসবে ব্যাটিংয়ের কথা। চার ইনিংসের তিনটিতেই ২০০’র নিচে অলআউট হওয়ার পর তা অবশ্য হওয়ারই কথা। 

তবে বাংলাদেশ এই সিরিজে যেমন ফিল্ডিং করেছে, তাতে তো সে বিভাগটাকেও কাঠগড়ায় ওঠানো উচিত! এই সিরিজের দুই ম্যাচে চার ইনিংসে বাংলাদেশ ক্যাচই ফেলেছে ১১টি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১, দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডাররা ফেলেছেন ৩ ক্যাচ। তবে সংখ্যাটা রীতিমতো আকাশে উঠে গেছে সদ্যসমাপ্ত দ্বিতীয় টেস্টে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ ক্যাচ ফসকেছে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের হাত গলে।

তার বেশিরভাগ ক্যাচেরই মাসুল গুণেছে স্বাগতিকরা। প্রথম টেস্টে কামিন্দু মেন্ডিস মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ‘জীবন’ পেয়ে খেলেছেন ১০২ রানের বিশাল ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যে ছয়টা ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার রান বাড়াতে সাহায্য করেছে তার সবকটি। 

খুব বড় ইনিংস না খেললেও সে ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৬ ব্যাটার খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস বা সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংস। শ্রীলঙ্কার রেকর্ডগড়া ৫৩১ রানের পাহাড় গড়তে অবদান রেখেছেন তাদের সবাই। তাদের মধ্যে নিশান মাদুশঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস আর দিমুথ করুনারত্নে ‘জীবন’ পেয়ে খেলেছিলেন এই সব ইনিংস। 

দুই টেস্টেই দলকে অনেকটা পিছিয়ে দেওয়ায় ভূমিকা ছিল বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচিংয়ের। এমন কেন হলো ম্যাচে, তা রীতিমতো ব্যাখ্যাতীত ঠেকছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে।

কেন? তার কারণটা জানালেন শান্ত। বললেন, ‘ফিল্ডিংয়ের বিষয়ে যেটা বলব যে, সবাই যথেষ্ট প্র্যাকটিস করেছে। প্র্যাকটিসে প্রত্যেকটা ক্যাচও নেয়। কেন হয়েছে তার উত্তর নেই। তবে ফিল্ডিংয়ের প্রস্তুতির কথা যদি বলি, তাহলে বলব সবাই প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ক্যাচগুলো আমরা নিতে পারিনি!’

বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচিং খেলার অংশ। তবে পেছনের ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়াটাও সেই খেলারই অংশ। বাজে ফিল্ডিংয়ের ব্যখ্যা অধিনায়ক শান্তর খুঁজে না পাওয়াটা তাই ভবিষ্যতের আরও বড় বিপাকে ফেলার ইঙ্গিতই দিচ্ছে এখন!

সম্পর্কিত খবর