ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
সিরিজ আগেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বাকি ছিল কেবল হোয়াইটওয়াশ হওয়া। অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে মিরপুরে সেটাও হয়ে গেল শেষমেশ। মান বাঁচানোর ম্যাচে অজিদের দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের মেয়েরা হারল ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে।
আগের দুই টি-টোয়েন্টিতে তাও দলীয় সংগ্রহটাকে তিন অংকের ঘরে নিয়ে যেতে পেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ বেলায় এসে জ্যোতির দল পারল না সেটিও। ব্যাটিং ধসে গুঁটিয়ে গেল মাত্র ৭৮ রানে। যেখানে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জ্যোতি, সেটাও মাত্র ৩২। অজি বোলার তায়লা ভ্লামিনিক একাই শিকার করেছেন বাংলাদেশের ৩ উইকেট। আর এই জয়ের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ সফরের ইতি টানল অস্ট্রেলিয়া।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। তার আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ৬ বারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। সেই লক্ষ্যে অবশ্য লেটার মার্ক তুলেই দেশে ফিরছে অজিরা।
তবে চলতি মাসেই ফের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ভারত। তার প্রস্তুতিটাও হয়ে গেল বাংলাদেশের। এখন দেখার অপেক্ষা ভারতের বিপক্ষে অজিদের সঙ্গে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। আর সেটি পারলে বিশ্বকাপের আগে একটা ভালো প্রস্তুতি হয়ে যাবে বাংলাদেশেরও।
নারী ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড ৭ বার ওয়ানডেতে এবং টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ৬ বার বিশ্বকাপ জিতেছে। সেই দলের বিপক্ষে হারানোর কিছুই ছিল না বাংলাদেশের। বরং অজিদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিল মেয়েরা। সেই সুযোগে অজিদের একটা ম্যাচ হারানো গেলেও অন্তত তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারত মেয়েরা।
প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যটাও ছিল তেমনই। কেননা, এই মেয়েরাই কদিন আগে দেশের মাটিতে ভারত ও পাকিস্তানকে হারিয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে হারিয়ে এসেছে প্রোটিয়া নারীদের। তাই এই দলের কাছে অন্যবারের তুলনায় প্রত্যাশাটা খানিক বেশিই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অজি মেয়েদের হারানো যায়নি। আর সেই আক্ষেপ নিয়েই সিরিজ শেষ হয়েছে বাংলাদেশের।
মান বাঁচানোর ম্যাচে এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে পেয়েছিল ১৫৫ রানের শক্ত ভিত। সেই ভিত টপকে ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের জন্য কঠিনই ছিল। আর সেই কঠিন কাজটা দুরূহ হয়ে যায় ৫০ রানেই আগেই আট ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে।
তবে উইকেটের একপাশ আগলে ছিলেন অধিনায়ক জ্যোতি। একাই দলকে টানছিলেন যতটা সম্ভব ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে। সেই কাজটাও শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক করে আসতে পারেননি তিনি। ৩১ বলে ৩২ করে ফিরেছেন তিনি। আর তাতেই ১৮.১ ওভারে ৭৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।