তরুণদের আরও সুযোগ, সিনিয়ররা বিসিবির কাঠগড়ায়

তরুণদের আরও সুযোগ, সিনিয়ররা বিসিবির কাঠগড়ায়

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিকরা। এমন হারের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগের তির যাচ্ছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর। তবে তরুণ ক্রিকেটারদেরকে আরও সুযোগ দেওয়ার ইঙ্গিতই দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

দুই টেস্টের হারের ব্যবধান দেখুন, ৩২৮ আর ১৯২ রানের হার। এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, বাংলাদেশ সিরিজে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। এ নিয়ে আক্ষেপই ঝরে পড়ল ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যানের কণ্ঠে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ হারতেই পারি। কিন্তু কম্পিটিশন হয়নাই। ওরা যদি ৫০০ করতে পারে, আমরা কেন ৪০০ও করতে পারলাম না। এটা একটা বড় হতাশার জায়গা।’

পুরো সিরিজেই মোটা দাগে ব্যর্থ ব্যাটাররা। সেঞ্চুরি নেই একটিও। তিনটি দলীয় ইনিংস শেষ হয়ে গেছে ২০০ পেরোনোর আগেই। আর এই দুটো টেস্টেই খেলা হয়েছে তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। 

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও এমন ব্যাটিং পীড়া দিচ্ছে বিসিবিকে। জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমাদের হোমগ্রাউন্ড, দুইটা ভালো উইকেটে খেলেছি আমরা। সিলেট আর চট্টগ্রামে আমরা চেয়েছি ব্যাটারদের সুযোগ দিতে। ব্যাটাররা যেন রান করতে পারে। সেটা হয় নাই।’

তরুণ ক্রিকেটার অনেক আছেন দলে। দুই টেস্টে দুই বোলারের অভিষেক হয়েছে। তবে ওপেনার জয় থেকে শুরু করে জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দীপুদেরও অভিজ্ঞ বলার উপায় নেই। তাদের আরও সুযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ।

জালাল বলেন, ‘এখানে যারা নতুন খেলোয়াড় আছে, নতুন টেস্টে খেলছে, তাদের সময় দিতে হবে; টেস্ট দলে ঢুকেই শুরুতে মানিয়ে নেওয়াটা খুবই কঠিন। দুই তিন জন নতুন প্লেয়ার আছে, নাম বলব না, তাদের একটু সময় লাগবে।’ 

এই দলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তো আছেনই, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজরাও আছেন। বিসিবির অভিযোগ তাদের পারফর্ম্যান্স নিয়েই। জালাল বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যারা ছিল, যারা রান করতে পারেনি, যাদের কাছ থেকে আমরা আশা করেছিলাম… তাদের কাছ থেকে দুটো জুটি পেলেই হয়ে যেত, কিন্তু আমরা পাইনাই, এটা আমাদের বড় একটা আক্ষেপ।’ 

সম্পর্কিত খবর