ঘরোয়া লিগে খেলতে ‘চাপ’ দেবে না বিসিবি 

ঘরোয়া লিগে খেলতে ‘চাপ’ দেবে না বিসিবি 

ঘরোয়া লিগে খেলার সুফলটা গেল বছরের শেষ টেস্ট সিরিজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র এনসিএল খেলে যাওয়া খেলোয়াড়দের নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে এবারের শ্রীলঙ্কা সিরিজে তা হয়নি। যারা দলের সঙ্গে ছিলেন, তারা তো সাদা বলের ক্রিকেটেই ছিলেন, যারা ছিলেন না, তারাও বিপিএল, ডিপিএলে খেলে তারপর এসেছেন টেস্ট দলে। 

সে বিষয়টা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভরাডুবির পর মুমিনুল হক টেনে এনেছিলেন সামনে। এরপর টেস্ট শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও বললেন একই কথা। এরপরই উঠে আসে প্রশ্নটা, ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টা সামনে চলে আসে।

তবে জালাল ইউনুস জানালেন ‘অ্যাডজাস্টমেন্টের’ কথা। বললেন, ‘প্রস্তুতির জন্য আমাদের ডমেস্টিকে এক ন্যাশনাল লিগ ছাড়া তো আর সুযোগ নাই। কারণ সিরিজ বাই সিরিজ হতে থাকে। আপনি দেখেন কোন প্লেয়ার কোন ন্যাশনাল প্লেয়ার এখানে আলাদাভাবে সুযোগ পায় বেশি করে টেস্ট খেলার জন্য? এই সুযোগটা নাই। যখনই হয় আমাদের সিরিজ হয়। সিরিজের মধ্যে ওয়ানডে থাকে টেস্ট থাকে টি-টোয়েন্টি থাকে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় হলে তাকে অ্যাডজাস্ট করেই খেলতে হবে।’

এ দলের সিরিজগুলো একটা বিকল্প হতে পারত দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। তবে সেখানেও সামনে এসে দাঁড়ায় একই প্রশ্ন, ব্যস্ততার জন্য সুযোগ মিলবে তো? জালালের কথা, ‘এ দলে আমাদের প্রোগ্রাম আছে, পাকিস্তান সফর আছে সামনে, পাকিস্তান আসবে। নিউজিল্যান্ড আসবে এখানে খেলতে এই বছর। এই হলো আমাদের এ টিমের প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মধ্যে তারা কি সুযোগ পাবে? খুব ভালো হতো যদি ইন্ডিয়া সিরিজের আগে তারা এ দলে খেলতে পারত। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট আছে সামনে, উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট আছে সামনে, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলা আছে। এজন্যই তারা যদি সুযোগটা পেত, সুযোগটাই তো পাওয়া যায় না! যদি তারা আরও বেশি লঙ্গার ভার্সন খেলতে পারত, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু এখন ক্রিকেটের এফটিপি এমন হয়ে গেছে সুযোগ বের করা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট।’

পাশের দেশ ভারতে রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার কারণে শ্রেয়াস আইয়ার আর ঈশান কিষাণের কেন্দ্রীয় চুক্তিই বাতিল হয়ে গেছে। এভাবে চাপ দেওয়ার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। তবে জালাল জানিয়েছেন, বিসিবি ও পথে হাঁটবে না।

বলেছেন, ‘আমরা চাই মোস্ট অফ দ্য ন্যাশনাল প্লেয়ার তারা যদি এনসিএল বিসিএল খেলে তাহলে ডেফিনিটলি আরও কম্পিটিটিভ হয়। আগে দেখা যেত কিছু খেলোয়াড় এটা ইগনোর করত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সময়ই হচ্ছে না। ন্যাশনালের সিরিজগুলো এত টাইট, যে সময়ই হয় না। দেখা যাচ্ছে যখন টুর্নামেন্টগুলো হচ্ছে, তখন আমাদের সিরিজও চলছে। যদি সুযোগ পাই, ডেফিনিটলি ইউ আর রাইট। আমরা দেখব যে যদি সুযোগ থাকে, তাহলে তারা যেন সে সুযোগের সুবিধাটা নিতে পারে। বাধ্যতামূলক করা যায় না, অনেক সময় অনেক সমস্যা থাকে। আমরা হয়তো ওদের ইম্পোজ করতে পারি যে তোমাদের খেলতে হবে। বাধ্যতামূলক করা যাবে না।’

সম্পর্কিত খবর