দুই অচেনা ব্যাটারের নৈপুণ্যে পাঞ্জাবের জয়

দুই অচেনা ব্যাটারের নৈপুণ্যে পাঞ্জাবের জয়

লক্ষ্যটা ২০০ রানের। সেটি তাড়ায় ৭০ রানের সাজঘরে পাঞ্জাব কিংসের মূল ৪ ব্যাটার। সেখান ম্যাচে নিজেদের দখলই দেখছিল আগের আসরের রানার্স-আপ গুজরাট টাইটান্স। তবে পাঞ্জাবের ঘরের ছেলে অচেনা ব্যাটার শশাঙ্ক সিংয়ের নৈপুণ্যে ধীর ধীরে মলিন হতে থাকে গুজরাটের জয়ের আশা। সেই শশাঙ্ক টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। দলকে জিতিয়েই ছেড়েছেন মাঠ। শেষ দিকে এসে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আশুতোষ সিং। এই দুই অচেনা ব্যাটারের নইপুন্যেই শেষ হাসি হাসে পাঞ্জাব। ৩ উইকেটের এই জয় দিয়ে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল শিখর ধাওয়ানের দল। 

দলের মূল ব্যাটাররা যখন ব্যর্থ তখন এই অচেনা দুই ব্যাটারে চড়েই জয়ের সুবাতাস পাঞ্জাব দলে। এলো দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা। এতে চার ম্যাচে দুই জয়ে তালিকার পাঁচে উঠে এলো পাঞ্জাব। এদিকে সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট গুজরাটের অবস্থান তিক তার পরেই। 

আহমেদাবাদে দিনের একমাত্র এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে গুজরাট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে শুভমান গিলের দল।

রান বন্যার এই আসরে পুরো ২০০ রানের লক্ষ্যে শুরুটা হওয়া চাই ভালো। তবে পাঞ্জাবের তা আর হলো কই। দলীয় ১৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। পরে প্রাভসিমরান সিংকে নিয়ে সেই চাপ সামলে নেন আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। 

তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভার থেকে ফের চাপের শুরু। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১১১ রান তুলতেই সাজঘরে পৌঁছায় অর্ধেক দল। পরে শেষের চ্যালেঞ্জে নাম লেখান শশাঙ্ক ও আশুতোষ। তাদের নৈপুণ্যেই শেষ ওভারে গড়ান ম্যাচে জয় পায় পাঞ্জাব। আশুতোষ ৩১ রানে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন শশাঙ্ক। এতে জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাবও। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পেলেও দ্রুতই ফেরেন গুজরাট ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (১১)। পরে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৪০ রান এবং সাই সুদর্শনের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক শুভমান গিল। টপ-অর্ডারের এই তিন ব্যাটার ফেরার পর গুজরাটের স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ১২২ রান। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে বড় সংগ্রহে পৌঁছান গুভমান। অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৪৯ রানে। এছাড়া শেষ দিকে ৮ বলে ২৬ রানে ক্যামিও খেলেন রাহুল তেওয়াতিয়া। 

পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন পেসার কাগিসো রাবাদা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

গুজরাট টাইটান্সঃ ১৯৯/৪ (২০ ওভার) (গিল ৮৯*, সুদর্শন ৩৩; রাবাদা ২/৪৪)

পাঞ্জাব কিংসঃ ২০০/৭ (১৯.৫ ওভার) (শশাঙ্ক ৬১*, প্রাভসিমরান ৩৫, আশুতোষ ৩১; নুর ২/৩২)

ফলঃ পাঞ্জাব ৩ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরাঃ শশাঙ্ক সিং 



সম্পর্কিত খবর