‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করলেই পাকিস্তান সফরে যাবে ভারত’

‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করলেই পাকিস্তান সফরে যাবে ভারত’

আগামী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসবে পাকিস্তানে। যেখানে অংশ নেবে ৮টি দল। সেই দলের একটি ভারতও। যাদের নিয়েই বিপদে পাকিস্তান। কেননা, সবশেষ পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া এশিয়া কাপে অংশ নেয়নি ভারত। ভারতের চাপে বাধ্য হয়ে তাদের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার মাটিতে আয়োজন করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসন্ন হওয়ায় আবারও উঠেছে সেই প্রশ্ন।

তবে কি ফের পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আয়োজনে বাধ সাধবে ভারত? আসর আয়োজন করতে হবে হাইব্রিড মডেলে? সেই সম্ভাবনাই যে বেশি তার আভাস মিলছে দেশটির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কথায়। তিনি এক রকম ঘোষণা দিয়ে বসেছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে পাকিস্তান সফরে যাবে না ভারত। পিসিবি অবশ্য বলছে পাকিস্তানের মাটিতেই হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর।

গত ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর কখনোই পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেনি ভারতের ক্রিকেট দল। পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল সবশেষ ২০০৬ সালে। সেই শেষ। মাঝে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি পাকিস্তানের মাটিতে। সেই অবস্থা থেকে অবশ্য বহু আগেই বেরিয়ে এসেছে পাকিস্তান। ভারত ছাড়া বাকি প্রায় সবাই পাকিস্তান সফর করেছে। নিজেদের সন্তুষ্টির কথাও জানিয়েছে। তবে সেখানে বড্ড ব্যতিক্রম ভারত।

সবশেষ এশিয়া কাপে দফায় দফায় মিটিং করেও শেষ পর্যন্ত ভারতকে পাকিস্তানে নিতে পারেনি দেশটি। এবারও যে একই পথে আগাচ্ছে ভারত সেই আভাস মিলেছে দেশটির সাবেক বিসিসিআই প্রধান ও বর্তমান ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কথায়।

তিনি বলেন, ‘বিসিসিআই-কে এটা ঠিক করতে হবে। কিন্তু আমি যখন বিসিসিআই সভাপতি ছিলাম তখন বলেছিলাম দুটি জিনিস একসঙ্গে চলতে পারে না। ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর সময় আপনি আপনার দেশে ভারতের খেলা আশা করতে পারেন না। আপনাকে প্রথমে ভারতে গুলি চালানো বন্ধ করতে হবে, আমাদের দিকে বোমা নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তান যখনই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে, ভারত পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।’

 

সম্পর্কিত খবর